সেবা ডেস্ক: সিলেটের কানাইঘাট থেকে নিখোঁজ শিশু মুনতাহাকে অপহরণের পর হত্যা করা হয়। লাশ ডোবায় গুমের চেষ্টা হয়, চারজন গ্রেপ্তার। তদন্তে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
সিলেটে নিখোঁজ শিশু মুনতাহাকে অপহরণের পর হত্যা, গ্রেপ্তার ৪।। ছবি: প্রথম আলো |
সিলেটের কানাইঘাট থেকে নিখোঁজ হওয়া পাঁচ বছরের শিশু মুনতাহা আক্তারকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করার জন্য ডোবায় পুঁতে রাখা হয়েছিল।
শিশু মুনতাহা গত ৩ নভেম্বর নিখোঁজ হয়, যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা চলছিল। পরিবার শিশুটিকে উদ্ধারে পুরস্কার ঘোষণা করে।
তবে ছয় দিন পর পুলিশের সন্দেহভাজন হিসেবে একজনকে আটকের পর ঘটনা নতুন মোড় নেয়। ডোবা থেকে লাশ তুলে পুকুরে ফেলে দেওয়ার সময় একজন হাতেনাতে ধরা পড়েন।
পুলিশ জানায়, এই ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে মুনতাহার প্রতিবেশী মার্জিয়া আক্তার, তাঁর মা আলিফজান বেগম, নাজমা বেগম ও ইসলাম উদ্দিন রয়েছেন।
তাঁদের বিরুদ্ধে মুনতাহার বাবার দায়ের করা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের অধীনে অপহরণ মামলা রয়েছে।
মুনতাহার বাবা শামীম আহমদ জানান, তাঁর ভাইয়ের সঙ্গে কারও ব্যক্তিগত বিরোধ ছিল না। তবে মুনতাহার প্রাইভেট শিক্ষক মার্জিয়ার প্রতি কিছু ক্ষোভ থেকে এ হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে বলে ধারণা করছেন তাঁরা।
এ ঘটনায় গ্রেপ্তারদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে এবং তাঁদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, লাশ উদ্ধারের সময় মুনতাহার শরীরে কাদা লেগে ছিল এবং গলায় রশিজাতীয় কিছু পেঁচানো ছিল, যা থেকে শ্বাসরোধে হত্যার সন্দেহ করা হচ্ছে।
মুনতাহার চাচা কয়ছর আহমদ জানান, মুনতাহার বাবা আগে সৌদি প্রবাসী ছিলেন। দেশে ফিরে তিনি সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালান এবং তাঁর পাঁচ ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। মুনতাহা তাঁদের পঞ্চম সন্তান।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।