শফিকুল ইসলাম: রৌমারীতে প্রতিবন্ধী,বয়স্ক,অসুস্থ্যরোগী, শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রীসহ অর্ধশতাধিক পরিবার অবরুদ্ধ থেকে মুক্তি চায়। রৌমারী মহিলা কলেজপাড়া গ্রামের অর্ধশতাধিক পরিবার বঞ্চিত রয়েছে নানা জরুরী সেবা থেকে।
এই অবরুদ্ধ থেকে মুক্তির লক্ষে রোববার দুপুর ১২ টার দিকে রৌমারী উপজেলার মহাসড়কে এক মানববন্ধন করা হয়েছে। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে স্মারকলিপি দেয়া হয়। এতে বক্তব্য রাখেন, নবম শ্রেণীর ছাত্র আল আমিন, সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ার হাবিবুল হাসান, সহকারি শিক্ষক আনোয়ার হোসেন, ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান, অবসর প্রাপ্ত সেনা সদস্য হুমায়ুন কবির ও এমদাদ হোসেন, জামালপুর পল্লি বিদ্যুৎ এর সাবেক পরিচালক শহিদুল ইসলাম আরজু ও সহকারি শিক্ষক আফরুজা বেগম প্রমূখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, রৌমারী মহিলা ডিগ্রি কলেজপাড়া গ্রামের প্রতিবন্ধী, বয়স্ক, অসুস্থ্যরোগী, শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রীসহ অর্ধশতাধিক পরিবার দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে যে রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতেন তা বন্ধ করে দেয়ায় বিপত্তির সৃষ্টি করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষসহ কিছু দুষ্কৃতিকারিরা।
কলেজের বাউন্ডারী ওয়াল তৈরির সময় ভুক্তভোগিরা বাধা প্রদান করলে ৩ থেকে ৪ ফুট রাস্তা ছেড়ে বাউন্ডারী ওয়াল নির্মাণ করেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সে জায়গাটিও দখল হয়ে যায়। এতে করে রাস্তাটি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। রাস্তাটি বন্ধ হওয়ায় দৈন্যদিন প্রতিবন্ধী, বয়স্ক, অসুস্থ্যরোগী, শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রীসহ অর্ধশতাধিক পরিবারগুলোর চলাচলের নানা ধরণের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। তারা আরো বলেন, রাস্তা বন্ধ থাকায় আমাদের চলাচল ব্যহত হচ্ছে। রাস্তা না থাকায় এ গ্রামে কোন বিয়ের অনুষ্ঠান হচ্ছে না। রাস্তার অভাবে কৃষকের উৎপাদিত ফসল বাজারে নেয়া যাচ্ছে না। এতে গ্রামবাসীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
এ বিষয়ে রৌমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী আনিসুল ইসলাম বলেন, কলেজ কর্তৃপক্ষ ও গ্রামবাসীর লিখিত আবেদন পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।