সেবা ডেস্ক: বাংলাদেশে আবারও মাইনাস-টু ফর্মুলা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। বিরাজনীতিকরণ এবং বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেয়ার প্রচেষ্টা নিয়ে বিএনপির সতর্কতা।
বাংলাদেশে আবারও আলোচনায় 'মাইনাস-২ ফর্মুলা |
বাংলাদেশের রাজনীতিতে আবারও আলোচনায় 'মাইনাস-২ ফর্মুলা'। সম্প্রতি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সতর্ক করেছেন, দেশজুড়ে বিরাজনীতিকরণ ও মাইনাস-২ ফর্মুলা প্রয়োগের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলোকে সরিয়ে দেয়ার যে প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে, তা জাতির জন্য ক্ষতিকর।
মির্জা ফখরুলের এই মন্তব্যে বাংলাদেশের রাজনৈতিক মহলে নতুন করে নানা প্রশ্ন উঠেছে।
২০০৭ সালের ১/১১-তে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় এসে দুই প্রধান রাজনৈতিক নেত্রী শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেয়ার পরিকল্পনা করেছিল। সে সময় এটি 'মাইনাস-টু ফর্মুলা' নামে পরিচিতি পায়, যা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়।
বর্তমানে রাজনৈতিক সংকট ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে আবারও এই ফর্মুলা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছে বিএনপি। তারা মনে করছে, রাজনীতির মাঠ থেকে তাদের সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা চলছে।
বিএনপির নেতা ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, দেশের বৃহৎ রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপিকে অগ্রাহ্য করা যাবে না।
অতীতে শেখ হাসিনা বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে মাইনাস করার চেষ্টা করেছেন, কিন্তু সফল হননি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রধান সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসউদ জানিয়েছেন, তারা সবাইকে নিয়েই রাজনীতি করতে চান এবং বিএনপিকে বাদ দেয়ার কোনও পরিকল্পনা নেই। তবে দলটির নেতারা মনে করছেন, সংস্কারের নামে নির্বাচন প্রলম্বিত করার মাধ্যমে তাদের রাজনৈতিক অধিকার খর্ব করা হচ্ছে।
বিএনপি মনে করছে, ক্ষমতায় আসা বিলম্বিত করার উদ্দেশ্যে কিংস পার্টি গঠনের পরিকল্পনা বা কিছু উপদেষ্টার মন্তব্য তাদের উদ্বিগ্ন করে তুলেছে।
বিশেষ করে সরকারের উপদেষ্টা ও ছাত্রনেতাদের বিভিন্ন বক্তব্যে দলটির মধ্যে মাইনাস-টু ফর্মুলার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে বলে মনে করছেন বিএনপির নেতারা।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।