সেবা ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের আগরার কাছে ভারতীয় বায়ুসেনার মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। পাইলট ইজেক্ট করে নিরাপদে রক্ষা পেলেও, বিমানটি দ্রুত আগুনে পুড়ে যায়।
মিগ-২৯ ভেঙে পড়ল, পাইলট নিরাপদে বাঁচলেন! |
ভেঙে পড়ল ভারতীয় বায়ুসেনার মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান! আগরার কাছে দুর্ঘটনার মুখে পড়ে এই বিমান, তবে ভাগ্যক্রমে পাইলট ইজেক্ট করতে সক্ষম হওয়ায় প্রাণে বেঁচে যান তিনি।
সোমবার দুপুরে উত্তরপ্রদেশের আগরার কাছাকাছি একটি খোলা মাঠে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। এতে বিমানটি দ্রুত আগুনে জ্বলে ওঠে এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়।
পাইলট আদমপুর থেকে মহড়ার অংশ হিসেবে আগ্রার দিকে যাচ্ছিলেন, তখনই বিমানটি মাঝ আকাশে যান্ত্রিক সমস্যার সম্মুখীন হয় বলে জানা গেছে।
পাইলট ইজেক্ট করার পরই বিমানটি মাটিতে আছড়ে পড়ে এবং দ্রুত পুড়ে যায়। ঘটনা জানার পর দমকলের ইঞ্জিন দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে।
স্থানীয় গ্রামবাসীদের করা ভিডিওতে দেখা যায়, বিধ্বস্ত বিমানটি আগুনে জ্বলে যাচ্ছে এবং পাইলট নিরাপদে বেরিয়ে আসছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের কথায়, একটি বিস্ফোরণের শব্দ শুনে তাঁরা বাইরে বেরিয়ে আসেন এবং আগুনের লেলিহান শিখা দেখতে পান। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান করা হচ্ছে, ইঞ্জিন ত্রুটির কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
মিগ যুদ্ধবিমানকে বহু বছর ধরে ‘উড়ন্ত কফিন’ নামে আখ্যায়িত করা হচ্ছে। গত ছয় দশকে চারশোরও বেশি দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে এই বিমান, যার মধ্যে দেড়শোর বেশি পাইলটের মৃত্যু হয়েছে।
মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান এখনো ভারতীয় বায়ুসেনার অন্যতম প্রধান যুদ্ধবিমান হলেও, রক্ষণাবেক্ষণ এবং আধুনিকীকরণের অভাবে এটি ক্রমেই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে।
ভারতীয় বায়ুসেনার মিগ যুদ্ধবিমানগুলির সাথে সুখোই-৩০ এমকেআই ও রাফাল যুক্ত করা হলেও, মিগ স্কোয়াড্রন এখনো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।
তবে আধুনিকীকরণের অভাব এবং বয়স্ক প্রযুক্তির কারণে মিগ ফাইটার জেটগুলির বিপদ ক্রমশ বাড়ছে।
১৯৬৩ সালে প্রথমবার দুর্ঘটনার শিকার হয়েছিল মিগ যুদ্ধবিমান। এরপর থেকে এই মডেলটি কয়েকবার আকাশে সফল মিশন সম্পন্ন করেছে, যেমন কার্গিল যুদ্ধের সময়।
তবে ১৯৯৯ সালের পর থেকে, মিগ-২৯ যুদ্ধবিমানগুলি আধুনিকীকরণে পিছিয়ে পড়ে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।