সেবা ডেস্ক: সাফজয়ী কৃষ্ণা রানী সরকারের ইউরোপীয় ক্লাব বার্সেলোনার বিপক্ষে খেলার আকাঙ্ক্ষা এবং দলের বিভিন্ন দাবির কথা প্রধান উপদেষ্টার কাছে তুলে ধরা হয়।
কৃষ্ণার বার্সেলোনার সঙ্গে খেলার স্বপ্ন: ইউনূসের কাছে আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করলেন সাফজয়ী নারীরা |
বাংলাদেশের নারীদের ফুটবল দল এশিয়ার বাইরের শক্তিশালী দলের সঙ্গে প্রীতি ম্যাচ খেলা’র ইচ্ছা পোষণ করে আসছে বহুদিন। সেই স্বপ্ন পূরণের আকাঙ্ক্ষা নিয়ে সাফজয়ী দলের ফরোয়ার্ড কৃষ্ণা রানী সরকার আজ এই বিষয়’টি তুলে ধরেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে। বিশে’ষ করে ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়ন ক্লাব বার্সেলোনার বিপক্ষে খেলার ইচ্ছার কথা উল্লেখ করেন কৃষ্ণা।
আজ সকালে ঢাকায় ইউনূসে’র যমুনা বাসভবনে সাফজয়ী দলের সদস্য’রা উপস্থিত হয়ে তাঁদের বিভিন্ন চাওয়া-পাওয়ার কথা তুলে ধরেন। দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন বলেন, “এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে আমরা সম্মানিত বোধ কর’ছি। আমাদের এই সাফল্যে’র পেছনে রয়েছে অগণিত সংগ্রামের গল্প, যা শুধু নারী ফুটবলে নয়, পুরো দেশের নারীদের স্বপ্ন ও সংগ্রামে’র প্রতীক।”
সাবিনা ও কৃষ্ণা ঢাকায় তাঁদের আবাসন সমস্যার সমাধান এবং নারী ফুটবলারদের পর্যাপ্ত আর্থিক সহায়তা বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছে’ন। ঢাকার বাইরে বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে উঠে আসা এই ফুটবলারদের পরিবারের আর্থিক সহায়তা প্রাপ্তি’র বিষয়টিও তুলে ধরেন সাবিনা। ময়মনসিংহের কলসিন্দুরে’র মারিয়া মান্দার সংগ্রামের গল্প ও দিনাজপুরের রানীশংকৈলের ক্রীড়া অবকাঠামোর দুর্বলতা’র বর্ণনা তুলে ধরা হয়। মিডফিল্ডার মনিকা চাকমা ও স্বপ্না রানী তাঁদের জীবনের কঠোর সংগ্রামের কথা জানান।
প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস প্রত্যেক খেলোয়াড়কে তাঁদের ব্যক্তিগত আশা-আকাঙ্ক্ষা লিখে পাঠাতে বলেন, এবং তাঁদের দাবিগুলো পূরণে’র জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, “আপনারা যা মন চায় লিখুন, আমরা আপনাদের দাবিগুলো পূরণের চেষ্টা করব।”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের কোচ পিটার বাটলার ও ম্যানেজার মাহমুদা আক্তার, সাথে ছিলেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। এই অনুষ্ঠানে সবাই খেলোয়াড়দের সাফল্যের প্রশংসা করেন এবং ভবিষ্যতের জন্য সহযোগিতা’র অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।