সেবা ডেস্ক: চট্টগ্রামে হেফাজতের বিক্ষোভের পর ইসকন নিষিদ্ধ করার দাবি উঠেছে। তবে এ ব্যাপারে দেশের আইনের মাধ্যমেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে।
বাংলাদেশে নিষিদ্ধ হচ্ছে ইসকন! হেফাজতের দাবিতে আলোচনা তুঙ্গে |
চট্টগ্রামের হাজারীলেইনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর হামলা ও এসিড নিক্ষেপের ঘটনা বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও ধর্মীয় প্রেক্ষাপটে ইসকনকে নিয়ে নতুন আলোচনা তৈরি করেছে।
এই ঘটনার পর, শুক্রবার (৮ নভেম্বর) চট্টগ্রামের আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদের সামনে অনুষ্ঠিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে হেফাজতে ইসলাম নেতারা ইসকনকে জঙ্গি সংগঠন হিসেবে অভিহিত করে বাংলাদেশে ইসকনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছেন।
হেফাজতের এ দাবি জনমনে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ইসকনের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ায় তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বাংলাদেশে এখনও সক্রিয় থাকা সত্ত্বেও ইসকনের কার্যক্রম নিয়ে বিতর্ক ক্রমশ তীব্র হচ্ছে। ইসকনের পক্ষ থেকে বলা হয়, তারা মূলত ভগবত্তত্ত্ব প্রচার, কৃষ্ণভাবনার প্রসার, এবং সদস্যদের আধ্যাত্মিক জীবনযাপনে উদ্বুদ্ধ করতে কাজ করছে। তবে হেফাজত নেতাদের মতে, ইসকন সংগঠনের এ কার্যক্রমের আড়ালে ভিন্ন উদ্দেশ্যে ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতাকে উস্কে দিচ্ছে।
ইসকনের সাতটি ঘোষণা করা উদ্দেশ্য হলো:
১. ভগবত্তত্ত্বজ্ঞান প্রচার ও মানুষকে আধ্যাত্মিক জীবনযাপনে উদ্বুদ্ধ করা।
২. শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা ও শ্রীমদ্ভাগবত অনুসারে কৃষ্ণভাবনার অমৃত প্রচার।
৩. সংস্কীর্তন আন্দোলন বা সমবেতভাবে ভগবানের দিব্যনাম কীর্তন।
৪. সমাজের জন্য পবিত্র স্থান নির্মাণ ও প্রার্থনার আয়োজন।
৫. সরল ও প্রকৃতির সাথে সমন্বিত জীবনধারা শিক্ষা।
৬. সাময়িক পত্রিকা ও গ্রন্থ প্রকাশনা ও বিতরণ।
৭. সংগঠনের সদস্যদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ ও ঐক্য সৃষ্টির প্রচেষ্টা।
এদিকে, ইসকনের প্রতি বিতর্কের পাশাপাশি, সাবেক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান মান্নার বিরুদ্ধে দেওয়া সাত দিনের আল্টিমেটাম বিষয়ক সংবাদ আরও উত্তেজনা তৈরি করেছে। দেশের সাধারণ মানুষসহ অনেকেই মনে করছেন, ইসকনের কার্যক্রম ধর্মীয় সংকটকে বৃদ্ধি করছে।
দেশের আইন অনুযায়ী, কোনো ধর্মীয় বা সামাজিক সংগঠন নিষিদ্ধ হতে হলে যথাযথ বিচার ও পর্যবেক্ষণের প্রয়োজন। কেউ কেউ মনে করছেন, ইসকন নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিতে হলে এর পেছনে সঠিক তদন্ত ও প্রমাণ থাকা উচিত, যেখানে ধর্মীয় গোষ্ঠী হিসেবে তাদের কার্যক্রম এবং এর প্রভাব যাচাই করা প্রয়োজন। বাংলাদেশে ইসকন নিষিদ্ধের প্রস্তাব আইনসিদ্ধ হবে কি না, তা নিয়ে দ্বিধা দেখা দিয়েছে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।