সেবা ডেস্ক: প্রথম অর্গাজম দৃশ্যে অভিনয় করা হেডি লামারই আজকের Wi-Fi প্রযুক্তির মূলে রয়েছেন। তাঁর উদ্ভাবন ছাড়া আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা অসম্ভব ছিল।
সিনেমায় সাহসী দৃশ্যের প্রথম নায়িকা হেডি লামার, Wi-Fi প্রযুক্তির ভিত্তি! |
সিনেমার ইতিহাসে প্রথমবার অর্গাজমের দৃশ্যে অভিনয় করে আলোড়ন তুলেছিলেন হেডি লামার। কিন্তু তাঁর পরিচিতি শুধুমাত্র একজন অভিনেত্রী হিসেবেই নয়, তিনি এমনই এক প্রযুক্তির উদ্ভাবন করেছিলেন, যা আজকের Wi-Fi, GPS ও Bluetooth প্রযুক্তির মূলে।
এই সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী গুণের কারণে হেডি লামারকে একদিকে যেমন সাহসী অভিনেত্রী হিসেবে গণ্য করা হয়, অন্যদিকে তাঁর উদ্ভাবনী মনোভাবও বিশ্বকে উপহার দিয়েছে আধুনিক যোগাযোগ প্রযুক্তির ভিত্তি।
১৯৩৩ সালে চেকস্লোভাকিয়ার ছবি 'এক্সটসি'তে, পর্দায় প্রথম নারী অর্গাজমের দৃশ্য প্রদর্শন করেন হেডি। তাঁর সাহসী অভিনয় তাঁকে রাতারাতি সেক্স আইকনে পরিণত করে।
১৯ বছর বয়সে বিয়ে হয়েছিল এক অস্ট্রিয়ান ধনকুবেরের সঙ্গে, যিনি হিটলার ও মুসোলিনিকে অস্ত্র সরবরাহ করতেন।
সেই সংসারে অত্যন্ত অসুখী হয়ে হেডি পালিয়ে যান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, যেখানে তিনি নতুন করে শুরু করেন অভিনয়জীবন।
অভিনেত্রী হেডি লামারের উদ্ভাবনী প্রযুক্তি আজকের Wi-Fi! |
তবে কেবল অভিনয়ের মঞ্চেই তাঁর প্রতিভা থেমে থাকেনি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়, হেডি এক অভিনব প্রযুক্তি আবিষ্কার করেন যা আজ 'ফ্রিকোয়েন্সি হপিং স্প্রেড স্পেকট্রাম' নামে পরিচিত।
এটি একটি পদ্ধতি যেখানে ট্রান্সমিটার ও রিসিভার ফ্রিকোয়েন্সি পরিবর্তন করে যোগাযোগ স্থাপন করে, যা তথ্য গোপন রাখতে সহায়ক। তার এই গবেষণা আজকের Wi-Fi প্রযুক্তির ভিত্তি।
যদিও সে সময় তাঁকে সিনেমার অভিনেত্রী হওয়ার কারণে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি, আজকের আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা তাঁর এই অবদান ছাড়া সম্পূর্ণ হতো না।
হেডি লামারের এই জীবনকাহিনী প্রমাণ করে, সৌন্দর্যের আড়ালেই লুকিয়ে ছিল তাঁর বিজ্ঞান মনোভাব।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।