সেবা ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে ডোনাল্ড ট্রাম্প ৮০০ মাইল বাফার জোনের প্রস্তাব দিয়েছেন, যা ইউরোপীয় সেনারা পরিচালনা করবেন। পুতিন ও ট্রাম্প শিগগিরই আলোচনায় বসতে পারেন।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে নতুন প্রস্তাব দিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প |
দীর্ঘ দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে নতুন প্রস্তাব দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
তার প্রস্তাব অনুসারে, রাশিয়া এবং ইউক্রেনের সেনাদের মধ্যে ৮০০ মাইল দীর্ঘ বাফার জোন প্রতিষ্ঠা করা হবে, যা ইউরোপীয় ও ব্রিটেনের সেনারা তদারকি করবেন।
ট্রাম্পের প্রস্তাব এমন এক সময় এসেছে, যখন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সতর্ক করেছেন, রাশিয়াকে তুষ্ট করার চেষ্টা ইউরোপের জন্য আত্মঘাতী হতে পারে।
জেলেনস্কি দৃঢ়তার সঙ্গে জানিয়েছেন যে, রাশিয়ার সঙ্গে শান্তিচুক্তি করতে তার কোনো ইচ্ছা নেই। ট্রাম্প নির্বাচনী প্রচারণার সময়ই ইউক্রেন সংকট সমাধানের অগ্রাধিকার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এবং তার বক্তব্য অনুযায়ী, তিনি দায়িত্ব গ্রহণের আগেই শান্তি আলোচনার উদ্যোগ নিতে চান।
এদিকে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন গত বৃহস্পতিবার ট্রাম্পকে তার নির্বাচনী জয়ের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, রাশিয়া ইউক্রেন সংকট সমাধানে আলোচনার জন্য প্রস্তুত এবং ট্রাম্পের এই উদ্যোগকে গুরুত্ব দিচ্ছেন।
ট্রাম্পের পরিকল্পনা অনুযায়ী, রাশিয়া দখলকৃত এলাকাগুলোকে সীমান্ত হিসেবে ধরে একটি বাফার জোন প্রতিষ্ঠা করা হবে এবং ইউক্রেনকে আগামী ২০ বছরের জন্য ন্যাটোতে যোগদানের পরিকল্পনা স্থগিত রাখতে হবে।
এর পরিবর্তে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে বিপুল পরিমাণে অস্ত্র সরবরাহ করবে যাতে রাশিয়া নতুন করে যুদ্ধ শুরু করতে না পারে। তবে যুক্তরাষ্ট্র এই মিশনে কোনো সেনা পাঠাবে না এবং কোনো অর্থায়নও করবে না।
এই পরিকল্পনা অনুযায়ী, পোল্যান্ড, জার্মানি, যুক্তরাজ্য এবং ফ্রান্স এই মিশনের দায়িত্ব নেবে।
একটি সাক্ষাৎকারে ট্রাম্পের একজন সহকারী ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে জানিয়েছেন, "আমরা প্রশিক্ষণ ও অন্যান্য সহায়তা দিতে পারি, তবে অস্ত্রের ভার থাকবে ইউরোপীয়দের হাতে।
আমরা মার্কিন সেনাদের ইউক্রেনে শান্তি রক্ষায় পাঠাচ্ছি না এবং আমাদের কোনো অর্থও ব্যয় করছি না।"
অপরদিকে, রাশিয়ার সোচিতে ভলদাই ডিসকাশন ক্লাবের একটি অনুষ্ঠানে পুতিনকে প্রশ্ন করা হয়, ট্রাম্প যদি আলোচনার জন্য ডাকেন, তাহলে রাশিয়ার প্রতিক্রিয়া কী হবে।
পুতিন উত্তর দেন, ট্রাম্প প্রশাসন চাইলে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা পুনরায় শুরু করতে প্রস্তুত।
এদিকে এনবিসি নিউজের একটি সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি এখনো পুতিনের সঙ্গে কথা বলেননি, তবে শিগগিরই আলোচনা হবে বলে তিনি আশা করছেন।
আগামী সপ্তাহগুলোতে এই প্রস্তাবের ওপর আলোচনা এবং মতামত প্রকাশ হতে পারে, যা যুদ্ধের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।