সেবা ডেস্ক: ভারতের বৃন্দাবনে মন্দিরের এসির পানি পবিত্র মনে করে পান করছেন ভক্তরা। এটি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে বলে সতর্ক করছেন বিশেষজ্ঞরা।
পবিত্র পানি ভেবে মন্দিরের এসির পানি পানে ভক্তদের হিড়িক |
ভারতের উত্তরপ্রদেশের মথুরা জেলার বৃন্দাবন শহরের বাঁকে বিহারী মন্দিরে ভক্তদের পবিত্র পানি পান করার দৃশ্য অনলাইনে ভাইরাল হয়েছে।
সেখানে একটি হাতির ভাস্কর্যের মুখ থেকে বের হওয়া পানি ভক্তরা 'চরণ অমৃত' বা ভগবান কৃষ্ণের পায়ের পবিত্র পানি মনে করে পান করছেন।
তবে আসলে এটি মন্দিরের শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের (এসি) পানি যা ভক্তদের অজান্তে তাদের বিশ্বাসের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
সোমবার (৪ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস এবং এনডিটিভি জানিয়েছে যে, মন্দিরের দেওয়ালে থাকা হাতির আকৃতির ভাস্কর্যের মাধ্যমে পানির ফোঁটা পড়ার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
এতে দেখা যাচ্ছে, ভক্তরা ঐ পানিকে ‘পবিত্র চরণ অমৃত’ বলে বিশ্বাস করে পান করছেন। অনেকে কাপ কিংবা হাত দিয়ে পানি সংগ্রহ করছেন এবং শরীরে ছিটাচ্ছেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভিডিও প্রকাশিত হলে তা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। অনেকেই এটি দেখে ভক্তদের সরল বিশ্বাস ও কুসংস্কারের শিকার হওয়া নিয়ে মন্তব্য করেছেন।
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে ভিডিওটি ইতোমধ্যে ২৮ লাখ বারের বেশি দেখা হয়েছে। সেখানে একজন ব্যবহারকারী বলেন, “এমন পরিস্থিতি বৈজ্ঞানিক জ্ঞানবোধের অভাবের পরিচায়ক, যা মিথ, কুসংস্কার এবং বিভাজনের উৎস।”
এর পাশাপাশি বিশেষজ্ঞরাও এই পানি পান করা কতটা বিপজ্জনক হতে পারে, তা নিয়ে সতর্ক করেছেন।
একজন লিভার বিশেষজ্ঞ সতর্ক করেছেন যে এসি থেকে বের হওয়া পানি সাধারণত নানা রকম ছত্রাক ও জীবাণু সংক্রমণের উৎস হতে পারে।
তিনি তার অনুসারীদের এসি পানি থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন, কারণ তা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
এই বৃন্দাবনের বাঁকে বিহারী মন্দিরে এমন একটি ভুল ধারণা থেকে বিপজ্জনক অভ্যাস গড়ে উঠেছে, যা সতর্কতা সত্ত্বেও থামানো যাচ্ছে না।
মন্দির কর্তৃপক্ষ এখনও এ নিয়ে কোনো পদক্ষেপ নিয়েছে কিনা সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি, তবে ভক্তদের সরল বিশ্বাস এবং কুসংস্কার এ ঘটনাটিকে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করেছে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।