সেবা ডেস্ক: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম জানিয়েছেন, সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশনসহ অন্যান্য সিস্টেম সংস্কারের জন্য যৌক্তিক সময় প্রয়োজন।
দুর্নীতিগ্রস্ত সিস্টেম সংস্কার করে নির্বাচনে যেতে হবে: সারজিস আলম |
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, বাংলাদেশে দুর্নীতিগ্রস্ত সিস্টেমগুলোর সংস্কার অত্যন্ত জরুরি।
শুধু নির্বাচন আয়োজনের জন্য ২ হাজার মানুষের জীবন দিতে হয়নি, বরং দুর্নীতিগ্রস্ত সিস্টেম এবং অবিচারের বিরুদ্ধে দীর্ঘ সময় ধরে মানুষ বিরক্ত।
গত ১৬ বছরে বিভিন্ন সেক্টরের মধ্যে নির্বাচন কমিশন ছিল সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত। কমিশনের অবস্থা সংস্কার না করলে সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন কোনোভাবেই আশা করা যাবে না।
আজ শনিবার সিলেটের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে শহীদ পরিবারের সদস্যদের হাতে আর্থিক অনুদানের চেক বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
সারজিস বলেন, "নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচনী ব্যবস্থার পাশাপাশি বিচারব্যবস্থায়ও সংস্কার জরুরি।
হাইকোর্টে এমন কিছু লোক বসে আছে যারা আওয়ামী লীগের দোসর-ফ্যাসিস্ট হিসেবে কাজ করছে। যোগ্যতা ছাড়া তোষামোদির মাধ্যমে তারা সেখানে পৌঁছেছে। তাদের পরিবর্তন এবং যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ এখন অপরিহার্য।"
তিনি আরও বলেন, "সবকিছু সংস্কার করে নির্বাচনে যেতে হবে, এমন দাবি নয়, তবে নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সিস্টেমগুলোকে যৌক্তিক সময়ের মধ্যে সংস্কার করাই প্রয়োজন।
তাড়াহুড়ো করে সংস্কার করলে প্রকৃত পরিবর্তন সম্ভব নয়।"
সারজিস আরও দাবি করেন, বিগত ১৬ বছর এবং এমনকি ৫৩ বছরেও বাংলাদেশের সংবিধান জনতার অধিকার নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে। সাংবিধানিক সংস্কার প্রয়োজন।
তিনি বলেন, "প্রতিটি সরকার ইশতেহারের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসে, কিন্তু ক্ষমতায় এসে জনতার কথা ভুলে যায়।"
সারজিস আরও বলেন, “এই অভ্যুত্থান শুধু কিছু মানুষের জন্য হয়নি। বিগত ১৬ বছরে দেশের শীর্ষ রাজনৈতিক দলগুলো টনক নাড়াতে পারেনি।
তবে, দেশের ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন শেখ হাসিনার সরকারকে ভীতসন্ত্রস্ত করেছে।”
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।