সেবা ডেস্ক: বাংলাদেশ সরকার আদানি পাওয়ারকে ১৭৩ মিলিয়ন ডলার পরিশোধে নতুন এলসি ইস্যু করেছে, যার ফলে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু থাকবে।
আদানিকে ১৭৩ মিলিয়ন ডলার পরিশোধে নতুন এলসি ইস্যু করার প্রতিশ্রুতি |
বাংলাদেশ সরকার আদানি পাওয়ারকে ১৭৩ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করার জন্য নতুন ঋণপত্র (এলসি) ইস্যু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) এই নিয়ে তৃতীয়বার আদানি পাওয়ারের জন্য এলসি ইস্যু করেছে।
বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক এই এলসি ইস্যু করেছে এবং ভারতীয় পক্ষের ব্যাংক হিসেবে আইসিআইসিআই ব্যাংক কাজ করছে। পূর্বের এলসিগুলো বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির সঙ্গে পুরোপুরি সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল না বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
বর্তমানে আদানি পাওয়ার থেকে বাংলাদেশ প্রায় ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পায়। এর মধ্যে ঝাড়খণ্ডের গোড্ডায় অবস্থিত কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে দুটি ৮০০ মেগাওয়াট ইউনিট বিদ্যুৎ সরবরাহ করে।
তবে একটি ইউনিট বর্তমানে বন্ধ রয়েছে, এবং আদানির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যে অতিরিক্ত ১৫-২০ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ না করলে এই ইউনিট পুনরায় চালু করা হবে না।
অধিকর্তারা জানান, বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু রাখতে বাংলাদেশ সরকার নিয়মিত প্রতি মাসে আদানিকে ৯৫-৯৭ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করছে।
জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত আদানির বকেয়া ছিল প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ডলার, যার অর্ধেক ইতোমধ্যে পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ।
সম্প্রতি, আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে ৮৫০ মিলিয়ন ডলার বকেয়া দ্রুত পরিশোধে হস্তক্ষেপের জন্য অনুরোধ জানান।
আদানি গ্রুপ অক্টোবরে বিপিডিবিকে ৩০ অক্টোবরের মধ্যে বকেয়া পরিশোধ না করলে ৩১ অক্টোবর থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের হুমকি দিয়ে চিঠি দেয়।
অর্থনৈতিক চাপ থাকা সত্ত্বেও, বাংলাদেশ সরকার বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে আদানির পাওনা পরিশোধে পদক্ষেপ নিচ্ছে।
২০১৫ সালে আদানির সঙ্গে স্বাক্ষরিত ২৫ বছরের বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি অনুযায়ী তারা বিদ্যুৎ সরবরাহ চালিয়ে যাবে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।