সেবা ডেস্ক: চীনের এক্সিম ব্যাংক ৬টি প্রধান প্রকল্পে অর্থছাড় বন্ধ রাখায় বাংলাদেশের প্রকল্পগুলো স্থবির হয়ে পড়েছে। শিগগিরই অচলাবস্থা কাটার প্রত্যাশা ইআরডির।
চীনের অর্থছাড় বন্ধ: বাংলাদেশের প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি ও ঋণ পরিশোধ নিয়ে শঙ্কা |
চীনের এক্সিম ব্যাংক গত ৯ মাস ধরে বাংলাদেশে’র ৬টি বড় প্রকল্পে অর্থছাড় বন্ধ রেখেছে। ডলার সংকটের কারণে চলমান ঋণ পরিশোধে বাংলাদেশের সক্ষমতা নিয়ে উদ্বিগ্ন চীন। এর মধ্যে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ, ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এবং রাজশাহী ওয়াসার ভূ-উপরিস্থ পানি শোধনাগার অন্যত’ম। এই প্রকল্প’গুলোতে চীনের অর্থায়ন বন্ধ থাকায় বাংলাদেশে একরকম স্থবিরতা দেখা দিয়েছে, ফলে প্রকল্পের মেয়াদ ও ব্যয় বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে’ন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
এ প্রসঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সাবেক সিনিয়র সচিব কাজী শফিকুল আজম বলেছেন, চীনের উচিত প্রকল্পে অর্থছাড় না করায় সম্ভাব্য ব্যয় বৃদ্ধির দায়ভার গ্রহণ করা। ইআরডি বিশ্বাস করে, শিগগির’ই চীনের সঙ্গে চলমান অচলাবস্থা কেটে যাবে এবং প্রকল্পগুলো আবারো পূর্ণ গতিতে চলবে।
অচলাবস্থা নিরসনের লক্ষ্যে অক্টোবর মাসে চীনের এক্সিম ব্যাংকের একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফর করেছে। তিন দিনের এই সফরে প্রতিনিধি’দলটি চলমান প্রকল্পগুলোর অবস্থা সরেজমিন পরিদর্শন করে এবং ইআরডি কর্মকর্তাদে’র সঙ্গে বৈঠক করে। বাংলাদেশে’র পক্ষ থেকে ইআরডি অতিরিক্ত সচিব মিরানা মাহরুখ প্রতিনিধিত্ব করেন।
ইআরডি সূত্র জানিয়ে’ছে, চীনের প্রতিনিধিদলকে বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের ইতিবাচক রেকর্ড সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে। অতীতে বাংলাদেশ কখনো বৈদেশিক ঋণ পরিশোধে খেলাপি হয়নি। এছাড়া, প্রস্তাবিত একটি নতুন প্রকল্পে’র অর্থায়ন নিয়েও আলোচনা চলছে। আশা করা হচ্ছে, শিগগিরই অর্থছাড় শুরু হবে এবং প্রকল্পগুলোর কাজ পূর্ণ গতিতে শুরু করা যাবে।
চীনের এক্সিম ব্যাংক বাংলাদেশে চলমান প্রকল্পে প্রায় ৫০০ কোটি ডলার অর্থায়ন করে’ছে। বর্তমানে বাংলাদেশে’র মোট বৈদেশিক ঋণের মধ্যে চীনের অংশ ৯ শতাংশ, যেখানে বিশ্বব্যাংকের ৩১ শতাংশ, এডিবির ২৩ শতাংশ এবং জাপানের ১৭ শতাংশ।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।