আসমাউল আসিফ, জামালপুর প্রতিনিধি: জামালপুরে সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের মাহবুব হাসান হৃদয় নামক এক শিক্ষার্থীকে অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছে জামালপুর সদর পুলিশ। মাহবুব হাসান হৃদয় বকশীগঞ্জ উপজেলার বগারচর ইউনিয়নের বাসিন্দা।
বুধবার সকালে কলেজের একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী মাহবুব হাসান হৃদয়কে (১৫) অপহরণের পর সাত হাজার টাকা মুক্তিপণ আদায় করে অপহরণকারী আরাফাত হোসেন আদনান (২১)। এই ঘটনায় অপহরণকারী আরাফাতকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশের সূত্রে জানা গেছে, অপহরণের শিকার সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী মাহবুব হাসান হৃদয় বুধবার সকালে কলেজে যাওয়ার উদ্দেশ্যে মেস থেকে বের হয়। একই কলেজের পানাউল্লাহ আহমেদ ছাত্রবাসের সামনে পৌছালে কাঁচারীপাড়া এলাকার যুবক আরাফাত হোসেন আদনান ও তার এক সঙ্গী মাহবুব হাসান হৃদয়কে জোরপূর্বক অপহরণ করে মোটরসাইকেলে করে তুলে নিয়ে সিংহজানী বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি পরিত্যাক্ত কক্ষে নিয়ে যায়। এ সময় অপহরণকারী পৌর এলাকার উত্তর কাচারীপাড়া এলাকার হাসানুর রহমান হাসানের ছেলে আরাফাত হোসেন আদনান (২১), খামারবাড়ী এলাকার বদির ছেলে মো: সানি (২১), মুকুন্দবাড়ী এলাকার আপন (২২), সদর উপজেলার নান্দিনা এলাকার রেজাউল করিমের ছেলে মাসুমসহ আরও দুই থেকে তিনজন যুবক মাহবুব হাসান হৃদয়কে মারধর করে তার পরিবারের কাছে দশ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবী করে ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। এক পর্যায়ে হৃদয় তার বাবাকে ফোন করে বিকাশের মাধ্যমে সাত হাজার টাকা পাঠাতে বলে। টাকা পাঠালে অপহরণকারীরা তাদের বিকাশ এ্যাকাউন্টে টাকা নিয়ে হৃদয়কে ছেড়ে দেয়। হৃদয় বকশীগঞ্জ উপজেলার বগারচর ইউনিয়নের ঘাসিরপাড়া গলাকাটি গ্রামের মো: মোজাম্মেল হকের (৬৫) ছেলে। সে শহরের স্থানীয় একটি মেসে থেকে লেখাপড়া করে।
জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ফয়সার মো: আতিক জানান, সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অপহরণকারী আরাফাতকে আটক করে ও হৃদয়কে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এ ব্যাপারে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করে গ্রেফতারকৃতকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।