সেবা ডেস্ক: জামালপুরের বকশীগঞ্জে গভীর রাতে ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মশিউর রহমান লাকপতির ব্যক্তিগত কার্যালয় পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
শুক্রবার (৯ নভেম্বর) দিবাগত রাতে ২ টার দিকে কামালপুর মির্ধাপাড়া মোড়ে অবস্থিত ওই কার্যালয়ে আগুনে পুড়ে ভস্মিভূত হয়ে যায়। এনিয়ে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে।
ধানুয়া কামালপুর ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান লাকপতির দাবি, ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বারদের সাথে দ্ব›দ্ব ও রাজনৈতিক কারণে তার কার্যালয় পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
ঘটনার তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বকশীগঞ্জ থানা পুলিশ।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ২০২২ সালে ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মশিউর রহমান লাকপতি।
তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর কামালপুর মির্ধাপাড়া মোড়ে একটি ব্যক্তিগত কার্যালয় স্থাপন করেন। অফিসের কাজের বাইরে তিনি তার ঠিকাদারী কাজ দেখভাল করার জন্য এই কার্যালয় ব্যবহার করতেন।
গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে প্রথম বার এই কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়। সর্বশেষ শুক্রবার রাতে লাকপতির ব্যক্তিগত এই কার্যালয় পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এতে করে কার্যালয়ের আসবাবপত্র সহ ঠিকাদারী কাজের মালামাল পুড়ে যায়। আগুনে পুড়ে ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে কারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তা স্পষ্ট নয়।
ঘটনাটি সত্যি হয়ে থাকলে এই নেক্ক্যারজনক কাজের জন্য আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান অনেকেই।
এঘটনায় ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান লাকপতি জানান, স্থানীয় এক ব্যক্তি ও তার পরিষদের কয়েকজন সদস্যের সঙ্গে তার বিরোধ চলছে। এর আগেও তারা তার বাড়ির সীমানা প্রাচীর ভাঙচুর করেছেন। তিনি আইনগত ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন।
বকশীগঞ্জ থানার ওসি খন্দকার শাকের আহমেদ জানান, ইউপি চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত কার্যালয়ে আগুন দেওয়ার ঘটনাটি কিভাবে ঘটেছে তা সরেজমিনে তদন্ত করা হচ্ছে। কেউ যদি নাশকতামূলক কর্মকান্ড ঘটিয়ে থাকে অবশ্যই তা খুঁেজ বের করা হবে। এব্যাপারে পুলিশ কাজ করছে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।