রাষ্ট্রপতি পদে সংকট সমাধানের উপায়: সাংবিধানিক ও বাস্তব বিশ্লেষণ

Seba Hot News : সেবা হট নিউজ
0

সেবা ডেস্ক: রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের অপসারণ বা পদত্যাগ নিয়ে সংবিধান ও আইন বিশেষজ্ঞদের মতামত কী, তা নিয়ে বিশ্লেষণ।

রাষ্ট্রপতি পদে সংকট সমাধানের উপায় সাংবিধানিক ও বাস্তব বিশ্লেষণ


রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে অপসারণের দাবি ক্রমেই জোরালো হচ্ছে, তবে এ সংকটের সমাধান কীভাবে হবে তা নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রপতির অপসারণ বা পদত্যাগের প্রক্রিয়া নিয়ে বিশেষজ্ঞরা মতামত দিয়ে যাচ্ছেন, বিশেষ করে যখন সংসদ নেই এবং সাংবিধানিক প্রক্রিয়াও কঠিন অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে।

রাষ্ট্রপতি অপসারণের সাংবিধানিক পথ

বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতিকে অপসারণের কিছু নির্দিষ্ট শর্ত রয়েছে। সংবিধানের ৫৩ অনুচ্ছেদ অনুসারে, রাষ্ট্রপতিকে শারীরিক বা মানসিক অসামর্থ্যের কারণে অপসারণ করা যেতে পারে। এর জন্য সংসদের মোট সদস্যের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশের সমর্থন প্রয়োজন। এছাড়া ৫২ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি গুরুতর অসদাচরণ করলে সংসদ তাকে অভিসংশন করতে পারে।

কিন্তু এখন সমস্যা হলো, বর্তমান সময়ে সংসদ নেই এবং নতুন সংসদ গঠিত না হওয়া পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি অভিসংশনের কোনো সুযোগ নেই। আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী সরকার সুপ্রিম কোর্টের কাছে মতামত চাইতে পারে, যা ১৯৯১ সালে এরশাদ সরকারের পতনের সময় করা হয়েছিল।

পদত্যাগের বিষয়টি কীভাবে সমাধান হতে পারে

রাষ্ট্রপতি যদি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন, তবে সংবিধানের ৫৪ অনুচ্ছেদ অনুসারে স্পিকার রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করবেন। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে, সংসদের স্পিকারও পদত্যাগ করেছেন, তাই স্পিকারের দায়িত্ব পালনের প্রশ্নটি জটিলতায় পড়ে গেছে।

কিছু আইনজীবীর মতে, ‘ডকট্রিন অব নেসেসিটি’ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি তার পদত্যাগপত্র প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দিতে পারেন। এতে করে সংবিধান অনুসারে ক্ষমতার হস্তান্তর সম্পন্ন হবে। তবে এটি করতে হলে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতা অত্যন্ত জরুরি।

সমঝোতার মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রস্তাব

আইনজীবীরা বলছেন, অন্তর্বর্তী সরকার রাজনৈতিক সংকট মোকাবেলায় একটি সমঝোতার ভিত্তিতে সাংবিধানিক সমাধান বের করতে পারে। যেমন, ১৯৯১ সালে এরশাদের পতনের পর বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমদকে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা যদি রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নেন, তাহলে তাকে সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ভিত্তিতে সেই পদে স্থায়ী করার প্রক্রিয়া শুরু করা যেতে পারে। তবে এর জন্য রাজনৈতিক ঐকমত্য অত্যন্ত জরুরি।

সংবিধান কী বলে?

সংবিধানের ৫৪ অনুচ্ছেদ অনুসারে, রাষ্ট্রপতির পদ শূন্য হলে স্পিকার তার দায়িত্ব নেবেন। তবে স্পিকার না থাকলে নতুন আইনি কাঠামো তৈরি করা হতে পারে, যা সংবিধানের নীতি মেনে পরিচালিত হবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top