সেবা ডেস্ক: বাংলাদেশ সরকার সুইজারল্যান্ড থেকে দুই কার্গো এলএনজি আমদানির অনুমোদন দিয়েছে। এতে ব্যয় হবে ১,২৯৮ কোটি টাকা।
সরকার সুইজারল্যান্ড ভিত্তিক টোটাল এনার্জিস গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেড থেকে দুই কার্গো তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করার অনুমোদন দিয়েছে। এই আমদানিতে খরচ হবে কর ও ভ্যাটসহ মোট ১ হাজার ২৯৮ কোটি টাকা।
বৃহস্পতিবার (আজ) সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এই প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। বৈঠকে অনলাইনে সভাপতিত্ব করেন অর্থ, বাণিজ্য এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ, যিনি বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বার্ষিক সভায় অংশগ্রহণ করছেন।
এলএনজির দাম ও পরিমাণ
এক কার্গোতে থাকে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার মিলিয়ন মেট্রিক ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিট (এমএমবিটিইউ) এলএনজি। প্রথম কার্গোর প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজির দাম পড়বে ১৩.৯৪ মার্কিন ডলার এবং দ্বিতীয় কার্গোর জন্য ১৩.৫৭ মার্কিন ডলার। এ আমদানি আন্তর্জাতিক দর প্রক্রিয়ায় স্পট মার্কেট থেকে করা হচ্ছে।
এমএসপিএ চুক্তি ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে এলএনজি আমদানির সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত ২৩টি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মাস্টার সেল অ্যান্ড পারচেজ অ্যাগ্রিমেন্ট (এমএসপিএ) চূড়ান্ত করা হয়, যা অন্তর্বর্তী সরকার গত ৪ সেপ্টেম্বর পুনরায় অনুমোদন দিয়েছে।
চলতি বছরের অক্টোবর মাসে পাঁচ কার্গো, নভেম্বরে পাঁচ কার্গো, এবং ডিসেম্বরে চার কার্গো এলএনজি আমদানির পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানি
স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানির জন্য আগ্রহী সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের তালিকা ২০১৭ সালে প্রকাশ করা হয়। ২৯টি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে, এবং এর মধ্যে ১৭টির সঙ্গে মাস্টার সেল অ্যান্ড পারচেজ অ্যাগ্রিমেন্ট (এমএসপিএ) স্বাক্ষর করা হয়। পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠান সংখ্যা ২৩টি হয়।
অন্যান্য ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন
এছাড়াও, ক্রয় কমিটি ১০৪ কোটি ৩১ লাখ টাকায় ৩০ টন এমওপি সার কেনার প্রস্তাবও অনুমোদন করেছে। প্রতি টন সারের দাম হবে ২৮৯ দশমিক ৭৫ মার্কিন ডলার। রাশিয়ার জেএসসি ফরেন ইকোনমিক কোঅপারেশন কোম্পানিটি এই কাজ পেয়েছে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।