সেবা ডেস্ক: রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদচ্যুতি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির আলোচনা শিগগিরই হতে পারে।
 |
| রাষ্ট্রপতির পদচ্যুতি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু হওয়ার সম্ভাবনা |
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদচ্যুতি এবং ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করাসহ পাঁচ দফা দাবির বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি নতুন করে আলোচনার কথা ভাবছে। এসব দাবি মানতে গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছিল, কিন্তু এখন বিএনপির পক্ষ থেকে সাংবিধানিক সংকটের ইঙ্গিত আসায়, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বসে বিস্তারিত আলোচনা করার পরিকল্পনা হচ্ছে।
গত মঙ্গলবার ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার পর, বিষয়টি রাজনৈতিকভাবে আরও জটিল হয়ে উঠেছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতারা জানিয়েছেন, তারা রাষ্ট্রপতির পদচ্যুতি নিয়ে দাবিতে অটল থাকলেও, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে সংকটের সমাধান খোঁজার চেষ্টা করবেন।
রাষ্ট্রপতির পদচ্যুতির প্রেক্ষাপট
গত সপ্তাহে বঙ্গভবনের সামনে রাষ্ট্রপতির পদচ্যুতির দাবিতে বড় আকারের বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভটি ঢাকার বাইরেও ছড়িয়ে পড়ে। এই পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির সিনিয়র নেতাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়। এই বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, দেশে নতুন সাংবিধানিক বা রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি করা কাম্য নয়।
বিএনপি নেতাদের এ বক্তব্যের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি যৌথ সংবাদ সম্মেলনে জানায়, রাষ্ট্রপতির পদচ্যুতির দাবি রাজনৈতিক বিষয় হলেও হঠকারী সিদ্ধান্ত যেন কেউ না নেয়। একই সঙ্গে তারা দেশের পরিস্থিতি নিয়ে রাজনৈতিক ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছে।
রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তুতি
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যসচিব আরিফ সোহেল জানিয়েছেন, রাষ্ট্রপতির পদচ্যুতির বিষয়ে তাদের দাবি রাজনৈতিক বিষয় হওয়ায়, তারা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বসে আলাপ করতে চান। তবে আলোচনা শেষে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এই আলোচনা কোথায়, কবে, কীভাবে হবে, তা এখনও নির্ধারিত নয়। তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে স্পষ্টতা পেতে চায় যে, তারা রাষ্ট্রপতির পদচ্যুতির বিষয়ে কোথায় সংকট দেখছে।
এই পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করা হলে, বৈশ্বিক ও জাতীয় রাজনৈতিক অবস্থা কীভাবে প্রভাব ফেলবে, তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। বিষয়টি দেশের সাংবিধানিক স্থিতিশীলতা ও রাষ্ট্রপতির ভূমিকা নিয়ে জাতীয় পর্যায়ে আলোচনার পথ খুলতে পারে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।