সেবা ডেস্ক: রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগ দাবিতে চলছে আন্দোলন। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ রাষ্ট্রপতি হওয়ার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগ দাবিতে বিভিন্ন দলের আন্দোলন চলমান রয়েছে। বঙ্গভবন ঘেরাও কর্মসূচির মাধ্যমে আন্দোলনকারীরা তার পদত্যাগের আল্টিমেটাম দিয়ে রেখেছেন। এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠেছে— রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন যদি পদত্যাগ করেন, তাহলে পরবর্তী রাষ্ট্রপতি কে হবেন?
মঙ্গলবার, দুই উপদেষ্টা প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করে রাষ্ট্রপতি হওয়ার প্রস্তাব দেন। তবে প্রধান বিচারপতি বিনয়ের সঙ্গে সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। সুপ্রিম কোর্টের সূত্রে জানা যায়, প্রায় ঘণ্টাখানেক ধরে চলা বৈঠকে প্রধান বিচারপতি জানান, তিনি এই মুহূর্তে প্রধান বিচারপতির দায়িত্বে থাকতে চান এবং রাষ্ট্রপতি হওয়ার জন্য প্রস্তুত নন।
অন্যদিকে, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ নিয়ে বিভিন্ন সময় একাধিক বক্তব্য দিয়ে শপথ ভঙ্গ করেছেন। তার এই কর্মকাণ্ডের ফলে আন্দোলনকারীদের মধ্যে ক্ষোভ বেড়ে গেছে।
বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল টুয়েন্টিফোরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইন উপদেষ্টা এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “এ বিষয়ে কোনো কথা বলব না। এখন অনেক ব্যস্ত আছি।”
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীরা বলছেন, দেশের সাংবিধানিক কাঠামো কীভাবে চলবে, অথবা নতুন কোনো পথ খোঁজার বিষয়টি দ্রুত পরিষ্কার হওয়া উচিত। আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল মন্তব্য করেছেন, রাষ্ট্রপতি পদত্যাগ করবেন স্পিকারের কাছে। কিন্তু স্পিকার পদত্যাগ করেছেন এবং ডেপুটি স্পিকার কারাগারে আছেন। তাই সাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্রপতির স্পিকারের কাছে পদত্যাগপত্র দেওয়ার সুযোগ নেই।
তিনি আরো বলেন, “যদি রাষ্ট্রপতি কখনো পদত্যাগ করতে চান, তাহলে তিনি নিজেই পদত্যাগ করবেন। এ পদত্যাগ কাউকে অ্যাড্রেস করে করতে হবে, এমনটা জরুরি নয়।”
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।