শফিকুল ইসলাম: বন্যার পানি কমার সাথে সাথে দূর্ভোগে পড়ছে এলাকাবাসি। গত সোমবার থেকে ভারতের পাহাড়ী ঢলে রৌমারী উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকার নিম্নাঞ্চল এলাকায় বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে।
এতে পাকা-কাচা রাস্তার কাদা ও খানাখন্দের সৃষ্টি হওয়ায় দূর্ভোগে পড়েছে প্রায় ২০টি গ্রামের মানুষ। পানিবন্দি এলাকার মানুষ হাটু পানি ভেঙ্গে হাট-বাজারসহ গন্তব্যস্থানে যেতে হচ্ছে। অপরদিকে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় কমলমতি শিক্ষার্থীরাও যেতে পারছে না তাদের স্কুলে।
কৃষকের রোপা আমন ধান জেগে উঠলেও বেশিভাগ ফসল ক্ষতির সম্ভবনা রয়েছে। মাসকলাই, বাদাম , মরিচ ও শাকসবজিসহ অন্যান্য ফসল সম্পর্ণ ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। দেখা দিয়েছে গো-খাদ্যের তীব্র সংকট।
বোরাক চালক গোলজার হোসেন বলেন, বন্যার পানি বাড়ার সাথে সাথে রাস্তাগুলো পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় যোগাযোগ বন্ধ হয় এবং আমার গাড়িটি বাড়িতে আটকা পড়ে। পানি শুকালেও রাস্তা এখনও ভালো হয়নি। তাই কয়েকদিন থেকে আমার বোরাক গাড়িটি বন্ধ রয়েছে। ভাড়া চালাতে না পারায় পরিবার নিয়ে খুব কষ্টে আছি। আমি সরকারি-বেসরকারি কোন সহায়তা পাইনি।
স্কুল শিক্ষার্থী রেজওয়ানুল হক জানায়, পানি কমলেও স্কুলে যেতে পারছি না। কারন পানি কম হওয়ায় নৌকাও চলে না বা পায়ে হেটেও যাওয়া সম্ভব না।
নতুনবন্দর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছা. সোনালী বেগম বলেন, বন্যার পানি কমলেও রাস্তা ভাঙ্গা ও কাদা পানি রয়েছে। তাই শিক্ষার্থীরা আসতে পারছেনা। কয়েকদিন থেকে স্কুলে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি কম ছিল। এখন আবার দিনে দিনে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ছে।
বাওয়ার গ্রামের হাবিবুর রহমান বলেন, বন্যার পানিতে আমার বাড়ির পার্শে রাস্তাটি ভেঙ্গে যাওয়ার চলাচলের খুবই কষ্ট হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, গত দুইদিন থেকে পানি দ্রæত কমতে শুরু করেছে। আশা করি মাত্র কয়েকদিনের মধ্যে পানি শুকিয়ে যাবে এবং ফসলও জেগে উঠবে। তবে ফসলের কিছুটা ক্ষতি হতে পারে।
উপজেলা প্রকৌশলী মুনছুরুল ইসলাম জানান, অকালিন বন্যায় গ্রাম এলাকার রাস্তাগুলো আংশিক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ রাস্তার তালিকা করে উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠানো হবে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।