সেবা ডেস্ক: ফেসবুক এখন আমাদের জীবনের অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠেছে, যেখানে আমরা ব্যক্তিগত এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য শেয়ার করি। তাই ফেসবুক অ্যাকাউন্টের সুরক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সাইবার দুর্বৃত্তদের হাত থেকে আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত রাখতে নিচের কৌশলগুলো অনুসরণ করতে পারেন—
১. ফেসবুকে শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন:
আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টের জন্য শক্তিশালী, ইউনিক এবং জটিল পাসওয়ার্ড তৈরি করুন। ছোট-বড় অক্ষর, সংখ্যা এবং বিশেষ চিহ্ন ব্যবহার করে অন্ততপক্ষে আট অক্ষরের একটি পাসওয়ার্ড সেট করুন। পাসওয়ার্ড অন্য কারও সঙ্গে শেয়ার করা উচিত নয় এবং একই পাসওয়ার্ড অন্য কোথাও ব্যবহার করবেন না। উদাহরণস্বরূপ: M0&FIQUr2024
। কিছু পাসওয়ার্ড জেনারেটর ওয়েবসাইট ব্যবহার করে আপনি ইউনিক পাসওয়ার্ড তৈরি করতে পারেন।
২. ফেসবুকে টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন (২এফএ) চালু করুন:
টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন ফেসবুক অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা বাড়ায়। এটি চালু করলে, আপনি যখন কোনো নতুন ডিভাইস থেকে অ্যাকাউন্টে লগইন করবেন, তখন আপনার ফোনে একটি কোড পাঠানো হবে, যা দিয়ে আপনাকে লগইন নিশ্চিত করতে হবে। এই বাড়তি সুরক্ষা নিশ্চিত করে যে অন্য কেউ আপনার অনুমতি ছাড়া আপনার অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করতে পারবে না।
৩. ফেসবুকে নিরাপদভাবে লগইন ও লগআউট করুন:
ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লগইন করার জন্য সর্বদা অফিসিয়াল ফেসবুক সাইট (www.facebook.com) ব্যবহার করুন এবং কোনো ভুয়া ওয়েবসাইটে লগইন তথ্য প্রবেশ করাবেন না। ফেসবুক লগইন করার পর, আপনার ব্যবহৃত ডিভাইসগুলোতে নিয়মিত চেক করুন কোথায় কোথায় আপনার অ্যাকাউন্ট লগইন করা আছে এবং সেগুলো থেকে লগআউট করতে ভুলবেন না।
৪. ফেসবুকে সন্দেহজনক লিংকে ক্লিক করা থেকে বিরত থাকুন:
অপরিচিত বা সন্দেহজনক উৎস থেকে প্রাপ্ত লিংক বা ফাইল খুলবেন না। এমনকি আপনার পরিচিত কেউও যদি সন্দেহজনক কিছু পাঠায়, তাও ভালোভাবে যাচাই না করে ক্লিক করবেন না। ফেসবুক কখনোই ইমেইলের মাধ্যমে আপনার পাসওয়ার্ড জানতে চাইবে না, তাই এমন কোনো ইমেইল বা মেসেজের জালে পড়বেন না।
৫. ফেসবুকে বন্ধুবান্ধব বাছাইয়ে সতর্ক থাকুন:
ফেসবুকে অপরিচিত বা সন্দেহজনক ব্যক্তিদের বন্ধুত্বের অনুরোধ গ্রহণ করবেন না। হ্যাকাররা মিথ্যা পরিচয়ে আপনার বন্ধু হতে পারে এবং আপনার টাইমলাইনে স্প্যাম ছড়াতে বা বিব্রতকর পোস্টে ট্যাগ করতে পারে। বন্ধুত্বের অনুরোধ গ্রহণ করার আগে ওই ব্যক্তির প্রোফাইল যাচাই করে নিন।
৬. ভুয়া সফটওয়্যার থেকে সতর্ক থাকুন:
অথরাইজড প্ল্যাটফর্ম ছাড়া কোনো অ্যাপ্লিকেশন বা সফটওয়্যার ডাউনলোড করবেন না। ফেসবুক লগইনের জন্য কোনো তৃতীয় পক্ষের প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করবেন না। সঠিকভাবে যাচাই না করে কোনো বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রলুব্ধ হয়ে কোনো অজানা সাইটে আপনার লগইন তথ্য প্রবেশ করাবেন না।
৭. ফেসবুকে ট্রাস্টেড কন্টাক্ট সেট করুন:
ফেসবুকের সেটিংস থেকে আপনার নির্ভরযোগ্য বন্ধুদের ট্রাস্টেড কন্টাক্ট হিসেবে সেট করে রাখুন। যদি কখনো আপনার অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করতে না পারেন, তখন তারা আপনাকে রিকভারি কোড পাঠাতে সাহায্য করবে, যার মাধ্যমে আপনি আপনার অ্যাকাউন্ট ফিরে পেতে পারবেন।
৮. ফেসবুক অ্যাক্টিভিটি নিয়মিত চেক করুন:
ফেসবুকের সিকিউরিটি সেটিংসে গিয়ে "Where You're Logged In" অপশন থেকে চেক করতে পারেন আপনার অ্যাকাউন্ট কোথায় কোথায় লগইন আছে। যদি কোনো অজানা ডিভাইস বা অবস্থান থেকে লগইন দেখা যায়, তাহলে সাথে সাথে সেই ডিভাইস থেকে লগ আউট করে দিন এবং পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করুন।
এই কৌশলগুলো অনুসরণ করলে আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট অনেক বেশি নিরাপদ থাকবে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।