মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশন মেরামতে ব্যয় ১৮ কোটি ৮৬ লাখ টাকা

Seba Hot News : সেবা হট নিউজ
0

সেবা ডেস্ক: মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশন সচলে প্রথম ধাপে ১.১৯ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে বিদেশি যন্ত্রাংশ এনে মেরামতে ব্যয় হবে মোট ১৮.৮৬ কোটি টাকা।

মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশন মেরামতে ব্যয় ১৮ কোটি ৮৬ লাখ টাকা
মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশন মেরামতে ব্যয় ১৮ কোটি ৮৬ লাখ টাকা


মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশন মেরামতে ব্যয় ১৮ কোটি ৮৬ লাখ টাকা

জামালপুরের বকশীগঞ্জে মেট্রোরেলের মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশন পুনরায় চালু করা হয়েছে প্রথম পর্যায়ের মেরামতের মাধ্যমে। স্টেশন দুটির মেরামতে সর্বমোট খরচ হবে ১৮ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। সরকারের দাবি, প্রথম পর্যায়ে ১ কোটি ১৯ লাখ ৪৩ হাজার টাকা ব্যয়ে প্রাথমিক মেরামত সম্পন্ন হয়েছে।

মেরামতের ধাপ ও খরচের বিবরণ

গত ২০ সেপ্টেম্বর ২০ লাখ ৫৬ হাজার টাকা ব্যয়ে কাজীপাড়া স্টেশন সচল করা হয়। আজ, মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর), ৯৮ লাখ ৭৮ হাজার টাকা ব্যয়ে মিরপুর-১০ স্টেশনও চালু করা হয়েছে। মেরামতের দ্বিতীয় পর্যায়ে বিদেশ থেকে যন্ত্রাংশ আনা হবে, যা দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত যন্ত্রাংশ প্রতিস্থাপন করা হবে।

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, "প্রাথমিকভাবে ১ কোটি টাকার বেশি খরচ হয়েছে। আরও ১৭ কোটি ৬০ লাখ টাকা খরচ হবে দ্বিতীয় পর্যায়ে।" তিনি আরও জানান, মেরামতে বিদেশি সাহায্য ছাড়াই দেশীয় কর্মকর্তাদের দক্ষতায় মাত্র তিন মাসে স্টেশনগুলো সচল করা সম্ভব হয়েছে।

সামাজিক প্রতিক্রিয়া ও সমালোচনা

তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে মেরামতের খরচ ৩৫০ কোটি টাকা হবে বলে দাবি করা হয়েছিল, যা নিয়ে এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। অনেকের মতে, আগের সরকার থাকলে অতিরিক্ত ৩৩১ কোটি টাকা লোপাট হতো। অন্যদিকে, শেখ হাসিনার সমর্থকরা অভিযোগ তুলেছেন যে, মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশন সচল করতে অন্যান্য স্টেশন থেকে যন্ত্রাংশ খুলে এনে ব্যবহার করা হয়েছে, অথচ খরচ হয়েছে ১৯ কোটি টাকা।

ডিএমটিসিএল-এর প্রতিক্রিয়া

ডিএমটিসিএল-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ আবদুর রউফ জানিয়েছেন, যাত্রীচাপ কম থাকায় উত্তরা সেন্টার, উত্তরা দক্ষিণ ও বিজয় সরণি স্টেশন থেকে কিছু যন্ত্রাংশ এনে মিরপুর-১০ এবং কাজীপাড়া স্টেশনে বসানো হয়েছে। পাশাপাশি, কিছু সরঞ্জাম স্থানীয় বাজার থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। তিনি বলেন, "পরবর্তী ধাপে বিদেশ থেকে সরঞ্জাম এনে পুরনো স্টেশনগুলো আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হবে এবং অতিরিক্ত যন্ত্রাংশও মজুত রাখা হবে।"

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়া আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ১৯ জুলাই মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশনে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। সেই সময় ডিএমটিসিএল-এর তৎকালীন এমডি এম এ এন ছিদ্দিক বলেছিলেন, স্টেশন দুটি চালু করতে এক বছর লাগতে পারে। কিন্তু নতুন প্রশাসনের অধীনে তিন মাসের মধ্যেই মেরামত সম্পন্ন করা হয়েছে।

ফাওজুল কবির বলেন, "৩৫০ কোটি টাকা খরচে মেরামত করলে জিডিপি বাড়ানো সম্ভব হতো না। এখন ১৮ কোটি টাকায় কাজ শেষ করে প্রকৃত উন্নয়ন নিশ্চিত হচ্ছে।" তিনি আরও বলেন, "দেশের সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে ছিল, তবে এখন যোগ্য ব্যক্তিদের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে।"

হামলাকারীদের বিচার প্রসঙ্গে উপদেষ্টা জানিয়েছেন, ঘটনাগুলো ছাত্রদের কাজ নয়; দুষ্কৃতকারীরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ পুলিশপ্রধানের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং তদন্ত চলছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top