সেবা ডেস্ক: রেলওয়ের চারটি মেগা প্রকল্পের ব্যয় ও সময় বারবার বাড়ানোর পরও কাজ এখনো অসম্পূর্ণ। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোর গাফিলতির কারণে সময়মতো প্রকল্পগুলো শেষ হওয়া নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
রেলওয়ের চারটি মেগা প্রকল্পের সময় ও ব্যয় একাধিকবার বাড়ানোর পরও কাজ এখনো অসম্পূর্ণ। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ঠিকাদাররা অর্ধেক কাজ ফেলে চলে যাওয়ায় এবং নতুন করে দরপত্র আহ্বান করায় সময় ও অর্থের অপচয় ঘটছে।
রেলওয়ে মন্ত্রণালয়ের সূত্র মতে, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রেললাইন, ঢাকা-টঙ্গী-জয়দেবপুর, মধুখালী-কামারখালী-মাগুরা, খুলনা-মোংলা পোর্টসহ বেশ কিছু প্রকল্পের কাজ বারবার পিছিয়ে যাচ্ছে। ব্যয় ও সময় বৃদ্ধির ফলে এসব প্রকল্পের সঠিক সময়ে বাস্তবায়ন নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
২০১৫ সালে ৩৭৮ কোটি টাকায় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ ডুয়েলগেজ রেললাইন নির্মাণ প্রকল্প শুরু হলেও ২০২৪ সাল পর্যন্তও তা শেষ হয়নি। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পাওয়ার চায়না কালক্ষেপণের পর কার্যাদেশ বাতিল করা হয়েছে। নতুন ঠিকাদার নিয়োগের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। এ প্রকল্পের ব্যয় এখন ৬৬০ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।
টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনে দ্বিতীয় ডুয়েলগেজ লাইন এবং ঢাকা-টঙ্গী সেকশনে তৃতীয় ও চতুর্থ ডুয়েল রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পে ব্যয় প্রায় ৩০০ শতাংশ বেড়ে ৩,৩৫০ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। প্রকল্পটি শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২৩ সালে, কিন্তু এখন ২০২৭ সাল পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
মধুখালী-মাগুরা রেললাইন প্রকল্পেও কাজের ধীরগতি দেখা দিয়েছে। পাঁচ বছরেও এই প্রকল্পের এক-চতুর্থাংশ কাজও শেষ হয়নি।
মোংলা-খুলনা রেললাইন এবং আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন প্রকল্প ভারতীয় ঋণে বাস্তবায়িত হয়েছে। খুলনা-মোংলা পথে একটি ট্রেন চলাচল শুরু হলেও আখাউড়া-আগরতলা লাইনে এখনো কোনো ট্রেন চলেনি। খুলনা-মোংলা প্রকল্পটি প্রথমে ১৭০০ কোটি টাকার প্রাক্কলন করা হলেও ১৩ বছরে এর ব্যয় বেড়ে ৪২০০ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সরকার এই প্রকল্পগুলোর মূল্যায়ন করবে এবং গাফিলতির জন্য দায়ীদের খুঁজে বের করা হবে। চুক্তিগুলো পুনর্মূল্যায়নেরও সম্ভাবনা রয়েছে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।