সেবা ডেস্ক: দেশীয় উৎপাদন কমে যাওয়ায় কাঁচা মরিচের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকার ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি করছে। যশোরের বেনাপোল বন্দর দিয়ে বড় পরিমাণে কাঁচা মরিচ দেশে এসেছে।
দেশীয় উৎপাদন কমে যাওয়ায় কাঁচা মরিচের দাম বাড়ছে, ভারত থেকে আমদানি বেড়েছে |
দেশে কাঁচা মরিচের উৎপাদন কমে যাওয়ায় দাম বাড়তে থাকায় সরকার ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি দিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে দুই দিনে ৫৯৩ টন কাঁচা মরিচ আমদানি করা হয়েছে। মঙ্গলবার ১০ টন ৯৫৬ কেজি এবং সোমবার ৫৮১ টন ৯৭০ কেজি কাঁচা মরিচ দেশে এসেছে।
বেনাপোল কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, দেশের ২৮ জন আমদানিকারক প্রায় তিন কোটি ৩৪ লাখ টাকার কাঁচা মরিচ আমদানি করেছেন। প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ আমদানিতে খরচ পড়েছে ৯৬ টাকা। বেনাপোল চেকপোস্টের কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান জানান, আমদানি করা মরিচগুলো শুল্ক ও কর পরিশোধ করে বন্দর থেকে খালাস করা হয়েছে।
বাংলাদেশে কাঁচা মরিচের দাম আকাশচুম্বী। দেশীয় উৎপাদন কমে যাওয়ায় ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি করা হচ্ছে। কৃষি বিশেষজ্ঞরা দেশীয় উৎপাদন বাড়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন।
দেশীয় বাজারে কাঁচা মরিচের সরবরাহ কমে যাওয়ার প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে আবহাওয়াগত পরিবর্তন এবং কীটনাশকের অপব্যবহার। এছাড়াও, উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি এবং পরিবহন ব্যয় বেড়ে যাওয়াও মূল্যবৃদ্ধির অন্যতম কারণ।
কাঁচা মরিচের দাম বৃদ্ধির ফলে সাধারণ মানুষের খরচ বেড়েছে এবং রান্নার তেল, ডাল, চালের মতো অন্যান্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দামও কিছুটা প্রভাবিত হয়েছে। সরকারের এই আমদানি সিদ্ধান্তের ফলে বাজারে কাঁচা মরিচের সরবরাহ বাড়বে এবং দাম কিছুটা কমতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
তবে, কিছু বিশেষজ্ঞ মনে করেন যে, দীর্ঘমেয়াদী সমাধানের জন্য দেশীয় উৎপাদন বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দেওয়া জরুরি। এজন্য কৃষকদের উন্নত জাতের বীজ, সার এবং কীটনাশক সরবরাহ করতে হবে এবং উন্নত কৃষি পদ্ধতির প্রশিক্ষণ দিতে হবে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।