নাদিয়া আলি: ধর্ম ও পেশার দ্বন্দ্বে আলোচিত পাকিস্তানি পর্নস্টার

Seba Hot News : সেবা হট নিউজ
0

সেবা ডেস্ক: পাকিস্তানি পর্নস্টার নাদিয়া আলি ধর্ম ও পেশার দ্বন্দ্ব নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি হিজাব পরে পর্নে অভিনয় করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন।

নাদিয়া আলি ধর্ম ও পেশার দ্বন্দ্বে আলোচিত পাকিস্তানি পর্নস্টার
পাকিস্তানি পর্নস্টার নাদিয়া আলি: ধর্ম, পেশা ও বিতর্ক


বিশ্বব্যাপী আলোচিত পাকিস্তানি পর্নস্টার নাদিয়া আলি সম্প্রতি ডেইলি পাকিস্তানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, “জেনা করা পাপ, তবে পর্ন সিনেমায় অভিনয় করাকে আমি পেশার অংশ হিসেবে দেখি।” নাদিয়া, যিনি একজন স্বীকারোক্তি ইসলাম ধর্মাবলম্বী, বলেন, “আমি পর্ন সিনেমায় অভিনয় করি, যা আমার প্রতিদিনের জীবনের একটি অংশ। এটি আনন্দের জন্য নয়, বরং পেশাদার অভিনেত্রী হিসেবে কাজ।”

বয়স ২৫, নাদিয়া বলেন, হিজাব পরে পর্ন সিনেমায় অভিনয় করার কারণে তিনি পাকিস্তানের ট্রলের শিকার হন। তিনি জানান, “হিজাব পরার সিদ্ধান্ত প্রথাগত মুসলিম হিসেবে নয়, বরং আমার ভিডিওর দর্শক সংখ্যা বেড়েছে এর ফলে।”



নাদিয়ার ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল একটি ড্যান্সার হিসেবে, পরে তিনি পর্নস্টার এবং মাঝে মাঝে এসকর্ট হিসেবেও কাজ করেছেন। তিনি স্বীকার করেন যে, পর্ন ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করার সময় তার মুসলিম পরিচয়ের সঙ্গে মাঝে মাঝে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। ভবিষ্যতে মডেল হিসেবেও কাজ করতে চান বলেও জানান।

নাদিয়ার বাবা-মা তাঁর পেশা পছন্দ করেন না। তবে, নাদিয়া বলেন, “তাদের সঙ্গে আমার সম্পর্ক চমৎকার। তারা আমাকে বোঝে এবং এসব বিষয়ে খুব খোলামেলা আলোচনা করি।”

সম্প্রতি, নাদিয়া আলি একটি নতুন পর্ন ছবিতে অভিনয় করেছেন, যার নাম ‘ওয়েলকাম টু উওমেন অফ দ্য মিডল ইস্ট’। ছবির ট্যাগলাইনে বলা হয়েছে, “এদের দেখে অত্যাচারিত মনে হলেও সুযোগ পেলে নিজেদের বন্য অনবদমিত স্বাভাবিক যৌনতার বিস্ফোরণ ঘটাতে সিদ্ধহস্ত।” এই ছবিতে গৃহবধূর চরিত্রে অভিনয় করেছেন নাদিয়া।

নাদিয়া জানান, “যদিও আমি পর্ন ছবিতে শরীর উন্মোচন করি, তবুও এটি আমি পেশা হিসেবেই দেখি।” তিনি জানান, পাকিস্তানের পুরুষশাসিত সমাজের ভণ্ডামির বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফিকে হাতিয়ার হিসেবে দেখতে চান।

এদিকে, নাদিয়া বলেন, “ছোট থেকেই শুনে এসেছি, অমুক মেয়েটি বেশ্যা। আমি হিজাব পরে এটাই ক্যামেরার সামনে তুলে ধরি।” তিনি ধর্মের সঙ্গে বিরোধিতার কথা অস্বীকার করেন এবং দাবি করেন, তিনি দিনে অন্তত দুইবার নমাজ পড়েন।

নাদিয়ার বোনের বিয়ে হয়েছে গোঁড়া মুসলিম পরিবারে। তিনি দাবি করেন, “সারা জীবন ধর্মীয় রীতি মেনে গিয়েও বোনের স্বামী একাধিক পরকীয়ায় জড়িয়েছে। প্রতিবাদ করলে গালিগালাজ ও মারধোরের শিকার হয়েছে।”

পর্নস্টারের পেশা বেছে নেওয়ার ফলে নাদিয়া পাকিস্তানে ফেরার রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। তবে, তিনি জানান, তাঁর আত্মীয়-স্বজনরা তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক ছেঁটে ফেলেননি।

নাদিয়া হুমকি পেয়েছেন, তবে তিনি বলেন, “হুমকিবাজদের ফতোয়ায় আমল না দিয়ে ভালো ব্যবহার করলেই লাভ।”

এমনকি, তিনি পাকিস্তানের সংস্কৃতি এবং খাবারের প্রতি তার ভালোবাসা প্রকাশ করেছেন এবং দাবি করেছেন যে, “পাকিস্তানের মেয়ে হয়ে পর্ন ছবির নায়িকা হওয়া মানুষের মনে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি করে।”

অবশেষে, নাদিয়া আলি মনে করেন, মৃত্যু পরোয়ানাকে অতিরিক্ত গুরুত্ব না দেওয়াই ভালো। তিনি নিজের জীবনকে উপভোগ করতে চান, এবং এর জন্য তিনি স্বদেশে ফেরার কোন আগ্রহ নেই।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top