সেবা ডেস্ক: সিলেট গ্যাস ফিল্ডের ৭ নম্বর কূপে নতুন গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে। এখান থেকে দৈনিক ৭-৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হবে।
সিলেটে নতুন গ্যাসের সন্ধান: দিনে ৭-৮ মিলিয়ন ঘনফুট যুক্ত হবে জাতীয় গ্রিডে |
সিলেট গ্যাস ফিল্ডের ৭ নম্বর কূপে নতুন গ্যাসের সন্ধান মিলেছে। সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড (এসজিএফএল) জানিয়েছে, এই কূপ থেকে দৈনিক ৭-৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন সম্ভব হবে। এসজিএফএল-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, ৭ নম্বর কূপের ১ হাজার ২০০ মিটার গভীরে নতুন এই গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে। এর আগে, ১৪ আগস্ট ৭ নম্বর কূপের ২ হাজার ১০ মিটার গভীরে আরও একটি গ্যাস স্তরের সন্ধান মেলে, যা থেকে দৈনিক ৬-৭ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা সম্ভব।
এছাড়া, চলতি বছরের মে মাসে কৈলাশটিলা গ্যাস ফিল্ডের ৮ নম্বর কূপে ৩ হাজার ৪৪০ মিটার গভীরে গ্যাসের সন্ধান পাওয়া যায়। সেখান থেকে দৈনিক ২১ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা হচ্ছে। এসজিএফএল বর্তমানে জাতীয় গ্রিডে ৬০-৭০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করছে, এবং নতুন আবিষ্কৃত কূপগুলো থেকে উৎপাদন যুক্ত হওয়ায় সরবরাহ আরো বাড়বে।
এসজিএফএল সূত্রে জানা যায়, সিলেট অঞ্চলে গত বছর থেকেই কূপ অনুসন্ধান ও খননের কাজ চলমান রয়েছে। ২০২৩ সালের প্রথম দিকে কৈলাশটিলা ৮ নম্বর কূপে খনন কাজ শুরু হয়েছিল, যার জন্য প্রায় দেড়শ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। সিলেট গ্যাস ফিল্ড থেকে দৈনিক প্রায় ১০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে এবং ২০২৫ সালের মধ্যে ২৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।
এর আগে, ২০২২ সালের ২৭ জানুয়ারি রশিদপুরের ২ নম্বর কূপে ১৫৭ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের সন্ধান মেলে। এছাড়াও, দেশের সবচেয়ে পুরানো গ্যাসক্ষেত্র হরিপুরে ২০২২ সালের ২৬ নভেম্বর নতুন গ্যাসের সন্ধান পাওয়া যায়, এবং ২২ নভেম্বর কৈলাশটিলার ২ নম্বর পরিত্যক্ত কূপ থেকে গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়।
সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেডের আওতায় পাঁচটি গ্যাসক্ষেত্র রয়েছে। এর মধ্যে ছাতক গ্যাসফিল্ড পরিত্যক্ত অবস্থায় আছে, বাকি চারটি কূপ থেকে প্রতিদিন প্রায় ১০৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা হচ্ছে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।