ইসলামে আনন্দ ও রসিকতা: একটি সুষম দৃষ্টিভঙ্গি

Seba Hot News : সেবা হট নিউজ
0

সেবা ডেস্ক: ইসলাম শুধুমাত্র আধ্যাত্মিক জীবন নয়, বরং মানুষের শারীরিক ও মানসিক চাহিদার প্রতিও গুরুত্ব দেয়। এই নিবন্ধে ইসলামে আনন্দ ও রসিকতার স্থান, এর গুরুত্ব এবং সীমারেখা সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে।

ইসলামে আনন্দ ও রসিকতা একটি সুষম দৃষ্টিভঙ্গি


ইসলাম শুধুমাত্র আধ্যাত্মিক জীবনের উপর জোর দেয় না, বরং মানুষের শারীরিক ও মানসিক চাহিদার প্রতিও বিশেষ গুরুত্ব দেয়। একটি সুখী ও সুস্থ জীবনের জন্য আনন্দ ও রসিকতা জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

শান্তির ধর্ম ইসলাম মানুষের শারীরিক ও মানসিক চাহিদার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। কারণ ইসলাম মনে করে, একটি সফল জীবনের জন্য প্রশান্তি ও প্রফুল্লতা থাকা জরুরি।

আনন্দ কিংবা চিত্তবিনোদনের বেশ কিছু মাধ্যম রয়েছে। নির্দোষ বিভিন্ন খেলাধুলা, কবিতা আবৃত্তি, বিয়ের উৎসব, উপহার দেওয়া, উজ্জ্বল রঙের জামা কাপড় পরা, সুগন্ধি ব্যবহার, সুন্দর সাজে সজ্জিত হওয়া, আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ করা- এসব আনন্দের কিছু মাধ্যম। এছাড়া শরীরচর্চাকেও বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম মনে করা হয়।

আনন্দের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হলো রসিকতা। সব রসিকতাই যে খারাপ- তা কিন্তু নয়। কেননা টেনশন, হতাশা, বিষাদগ্রস্ততা দূর করার জন্যে হাসি-রসিকতা একটি ভালো উপাদান। মানসিক প্রফুল্লতার জন্যেও হাস্যরসের যথেষ্ট উপযোগিতা রয়েছে।

তবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো রসিকতার সীমা মেনে চলা। সীমা লঙ্ঘন হয়ে গেলে অনেকের মনে আঘাত লাগতে পারে। তাই সীমারেখাটি আগে জানতে হবে এবং পরে তা মানতে হবে। কোনোভাবেই অপরকে উত্ত্যক্ত করা বা খোঁচা দেওয়ার জন্যে কৌতুক করা যাবে না। ওই আনন্দে যেন গুনাহের লেশমাত্র না থাকে, সেদিকে লক্ষ্য রাখা।

বস্তুত হাস্য-রসিকতা বা কৌতুক পরস্পরকে ঘনিষ্ট করে তোলে। এ কারণে পরিপূর্ণ জীবন বিধান ইসলামে কৌতুককে বিশেষ করে মুমিনদের জন্যে জরুরি একটি বিষয় বলে মনে করা হয়। সুফিবাদের চর্চা যারা করেন, তাদের মাঝে পরস্পরে কৌতুক করার প্রবণতা দেখা যায়।

প্রিয়নবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামও রসিকতা করতেন। রাসূলুল্লাহ (সা.) ও হজরত আলী (রা.) এর খুরমা খাওয়া নিয়ে চমৎকার একটি ঘটনা আছে। ঘটনাটি হলো, একদিন উভয়ে একসঙ্গে বসে খুরমা খেজুর খাচ্ছিলেন। রাসূলুল্লাহ (সা.) খুরমা খেয়ে বিচিগুলো আলী (রা.) এর সামনে রাখলেন। খাওয়া শেষে রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, যার সামনে বিচি বেশি সে অতিভোজী। হজরত আলী (রা.) দেখলেন রাসূলুল্লাহ (সা.) এর সামনে কোনো বিচিই নেই, তাই জবাব দিলেন- যে বিচিশুদ্ধ খুরমা খেয়েছে, সে-ই বেশি পেটুক।

ইসলাম মানুষকে একটি সুখী ও সুস্থ জীবন যাপনের জন্য উৎসাহিত করে। আনন্দ ও রসিকতা এই সুখী জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তবে সীমার মধ্যে থেকে রসিকতা করা জরুরি।

ট্যাগস

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top