সেবা ডেস্ক: ইরানের সামরিক স্থাপনায় ইসরাইলের পাল্টা আক্রমণে উত্তেজনা বাড়ছে। আত্মরক্ষায় চালানো এই হামলায় ইরান-ইসরাইল সংঘর্ষের সম্ভাবনা বেড়েছে।
ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে সামরিক উত্তেজনা আরও এক ধাপ বেড়েছে। শুক্রবার রাতে ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী ইরানের সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে সুনির্দিষ্টভাবে হামলা চালিয়েছে। তেহরান ও কারাজ শহরে একাধিক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন।
ইসরাইলি বাহিনীর বিবৃতিতে জানানো হয়, ১ অক্টোবর ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র আক্রমণের প্রতিশোধে তারা এই পাল্টা আক্রমণ চালিয়েছে। ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গালান্ট জানান, এই আক্রমণটি ছিল ‘প্রাণঘাতী, সুনির্দিষ্ট, এবং বিস্ময়কর’। একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এই হামলার খবর নিশ্চিত করেছে এবং এএফপির প্রতিবেদন অনুযায়ী, তেহরান শহরের বাসিন্দারা সাতটি বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ইসরাইলের হামলা সমর্থন করা হলেও, তারা সরাসরি এই ঘটনায় জড়িত নয় বলে জানিয়েছে। হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র সেন সাভেট বলেন, ইসরাইল তার আত্মরক্ষার স্বার্থেই ইরানে আক্রমণ চালিয়েছে।
ইসরাইল-ইরান সংঘর্ষের কারণ মূলত মধ্যপ্রাচ্যের শক্তিশালী গোষ্ঠীগুলো, বিশেষত হামাস, হিজবুল্লাহ ও আইআরজিসি (ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ডস কর্পস) এর কর্মকাণ্ড ঘিরে। সম্প্রতি হামাসের হামলায় প্রায় ১২০৬ জন ইসরাইলি নাগরিকের মৃত্যুর পর থেকে ইসরাইল এই গোষ্ঠীগুলোর ওপর আক্রমণ চালাচ্ছে। গাজা, লেবানন ও সিরিয়ায় ইসরাইলি আক্রমণের প্রতিশোধ হিসেবে ইরান গত ১ অক্টোবর ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে, যা ইসরাইলের সঙ্গে তাদের দ্বন্দ্বকে আরও বাড়িয়ে তোলে।
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
ইরান ও ইসরাইলের এই উত্তেজনার ফলে মধ্যপ্রাচ্যের স্থিতিশীলতায় প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন উভয়ই উভয় দেশকে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে। ইরান তাদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করেছে, ইসরাইলের এই হামলা তাদের সার্বভৌমত্বের প্রতি সরাসরি চ্যালেঞ্জ। ইরান সরকারের মুখপাত্র জানিয়েছেন, তারা তাদের সামরিক প্রস্তুতি আরও জোরদার করবে এবং সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।