ইসলামে হাসি-রসিকতার সীমা ও গুরুত্ব

Seba Hot News : সেবা হট নিউজ
0

সেবা ডেস্ক: ইসলামে হাসি-রসিকতাকে উৎসাহিত করা হলেও এর কিছু সীমা রয়েছে। হাসি-রসিকতা হতে হবে নির্দোষ, পরিচ্ছন্ন ও প্রজ্ঞাপূর্ণ। রাসূলুল্লাহ (সা.) এর জীবন থেকে আমরা হাসি-রসিকতার সঠিক পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে পারি।

ইসলাম ও হাসি-রসিকতা


ইসলাম একটি শান্তির ধর্ম হওয়ার পাশাপাশি মানুষের শারীরিক ও মানসিক চাহিদার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেয়। হাসি-রসিকতা মানবজীবনের একটি সুখকর উপাদান হিসেবে ইসলামে এর গুরুত্ব অপরিসীম। তবে ইসলামে হাসি-রসিকতার নির্দিষ্ট কিছু সীমা রয়েছে।

ইসলামের দৃষ্টিতে হাসি-রসিকতা হতে হবে নির্দোষ, পরিচ্ছন্ন ও প্রজ্ঞাপূর্ণ। মিথ্যা, ধোঁকা, মানহানি, অন্যের কষ্ট দেওয়া ইত্যাদি হাসি-রসিকতা ইসলামে নিষিদ্ধ। হাসি-রসিকতা হতে হবে এমন যাতে অন্তরে কঠোরতা না সৃষ্টি হয়, আল্লাহর ধ্যান থেকে মানুষকে গাফেল না করে এবং কারো গাম্ভীর্য ও মর্যাদা নষ্ট না করে।


ইসলামে হাসি-রসিকতাকে উৎসাহিত করা হলেও এর কিছু সীমা রয়েছে। ইসলাম শিক্ষা দেয় যে, হাসি-রসিকতা হতে হবে মিতব্যয়ী এবং সীমার মধ্যে। রাসূলুল্লাহ (সা.) এর জীবন থেকে আমরা হাসি-রসিকতার সঠিক পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে পারি।


হাদিস শরীফে রাসূলুল্লাহ (সা.) এর জীবন থেকে আমরা দেখতে পাই, তিনি নিজেও সাহাবীদের সাথে হাসি-ঠাট্টা করতেন। তিনি শিশুদের সাথে মজা করতেন, তাদের মনোরঞ্জন করতেন। তবে তাঁর হাসি-ঠাট্টায় কখনো মিথ্যা বা ধোঁকার ছিদ্র ছিল না। তিনি সবসময় সত্যের মধ্যেই রসিকতা করতেন।

ইসলামে হাসি-রসিকতার গুরুত্ব অনেক। এটি মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে, সামাজিক সম্পর্ক জোরদার করে এবং জীবনকে আরো আনন্দময় করে তোলে। তবে ইসলাম শিক্ষা দেয় যে, হাসি-রসিকতা হতে হবে মিতব্যয়ী এবং সীমার মধ্যে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top