বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ছে: গভর্নরের আশাবাদ

Seba Hot News : সেবা হট নিউজ
0

সেবা ডেস্ক: বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি এবং ঋণমুক্ত হওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছেন। রিজার্ভ ২৪.৯৭ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, ঋণ চাপ কমছে।

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ছে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর


বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ধীরে ধীরে বাড়ছে এবং স্থিতিশীল হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। রোববার ইউএনবিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আগের সরকারের আমলে প্রতি মাসে রিজার্ভ ১.৩ বিলিয়ন ডলার করে কমলেও এখন তা ইতিবাচক প্রবণতায় ফিরছে।’


বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি: বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর জানিয়েছেন, আগের সরকারের আমলে প্রতি মাসে রিজার্ভ ১.৩ বিলিয়ন ডলার করে কমলেও এখন তা ধীরে ধীরে বাড়ছে এবং বর্তমানে রিজার্ভ ২৪.৯৭ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।


গভর্নর জানান, বিভিন্ন খাতে বকেয়া অর্থ পরিশোধের ফলে রিজার্ভের স্থিতিশীলতা বাড়ছে। বিশেষ করে, জ্বালানি, সার এবং আদানি-শেভরনের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর পাওনা পরিশোধের ফলে গত দুই মাসে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ১.৮ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেছে, যা পূর্বের ২.৫ বিলিয়ন ডলারের বকেয়া কমিয়ে ৭০০ মিলিয়ন ডলারে নামিয়ে এনেছে।


বকেয়া পরিশোধ: গত দুই মাসে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ১.৮ বিলিয়ন ডলার বকেয়া পরিশোধ করেছে, যার ফলে পূর্বের ২.৫ বিলিয়ন ডলারের অপরিশোধিত বিল ৭০০ মিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে।


৮ অক্টোবর পর্যন্ত বিপিএম৬ হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ১৯.৮২ বিলিয়ন ডলারে, আর মোট রিজার্ভ ২৪.৯৭ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। গভর্নর আশা করছেন, আগামী দুই মাসের মধ্যে বাকি ঋণ পরিশোধ করে নভেম্বর-ডিসেম্বরে দেশ ঋণমুক্ত হবে।


ঋণমুক্ত হওয়ার পরিকল্পনা: নভেম্বর-ডিসেম্বরের মধ্যে বাকি ঋণ পরিশোধ করে দেশের ঋণমুক্ত হওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক, যা বাজারে তারল্য পরিস্থিতির উন্নতি করবে।


গভর্নর মনসুর আরও জানান, আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে অতিরিক্ত ১০ বিলিয়ন ডলার ঋণ নেয়ার পরিকল্পনা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক, যা অর্থনীতির ওপর চাপ কমাতে সাহায্য করবে। তবে তিনি দেশের ক্রমবর্ধমান বৈদেশিক ঋণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, যা এখন ১০৩ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। এই ঋণ পরিশোধের চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে উঠতে এক বছর সময় লাগবে বলেও তিনি জানান।


বৈদেশিক ঋণের চাপ: দেশের বৈদেশিক ঋণ এখন ১০৩ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা গভর্নরের জন্য উদ্বেগের বিষয়। এই ঋণের চাপ কাটিয়ে উঠতে প্রায় এক বছর সময় লাগবে।


বৈদেশিক ঋণের ক্রমবর্ধমান চাপ মোকাবেলা করার পাশাপাশি, দেশের অর্থনীতি ত্বরান্বিত করার জন্য অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক আরও উদ্যোগ নেবে বলে জানানো হয়েছে। গভর্নর আরও বলেন, তারল্য পরিস্থিতি উন্নত হলে অর্থনীতির কর্মকাণ্ড আরও চাঙা হবে এবং দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক কাঠামো শক্তিশালী হবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top