সেবা ডেস্ক: শেরপুরে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। টানা ভারী বর্ষণ ও উজানের পাহাড়ি ঢলে জেলার পাঁচ উপজেলার ৩০টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া এ বন্যায় এখন পর্যন্ত ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এর মধ্যে নালিতাবাড়ীতে দুই ভাইসহ ৫ জন পানিতে ডুবে মারা গেছেন, এবং ঝিনাইগাতীতে আরেকজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, তবে তার পরিচয় এখনো শনাক্ত হয়নি।
নালিতাবাড়ী থানার ওসি ছানোয়ার হোসেন জানান, বন্যার পানিতে ডুবে খলিশাকুড়ির খলিলুর রহমান (৬৫), আন্ধারুপাড়ার ইদ্রিস আলী (৬৬), নিশ্চিস্তপুর কুতুবাকুড়া গ্রামের দুই ভাই আলম (১৭) ও হাতেম (৩০), এবং বাঘবেড় বালুরচরের ওমেজা বেওয়া মারা গেছেন।
সেনাবাহিনী, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে বন্যায় আটকে পড়াদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। তবে পানির স্রোত ও নৌযানের সংকটের কারণে উদ্ধার কাজ ব্যাহত হচ্ছে। শেরপুরের পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, ভোগাই নদী, চেল্লাখালী, মহারশি ও সোমেশ্বরীর পানি এখনও বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
জেলা কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, ৩৫,০০০ হেক্টর আমন ধানের জমি ও ৯০০ হেক্টরের বেশি সবজি ক্ষেত বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে, যার ফলে কৃষি খাতে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।