সেবা ডেস্ক: আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, ২০২৫ সালের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন সম্ভব। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের আলোচনায় আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল জানিয়েছেন, ২০২৫ সালের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব হতে পারে। একই অনুষ্ঠানে তিনি উল্লেখ করেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে এবং ট্রাইব্যুনালে সাংবাদিকদের বিচার না করার প্রতিশ্রুতি দেন।
আলোচনায় গায়েবি মামলার বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, পূর্ববর্তী সরকারের সময়ে পুলিশ বিরোধী দলের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে গায়েবি মামলা দায়ের করত। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে ঢালাও মামলা হচ্ছে, যা মূলত পূর্বে নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিরাই দায়ের করছেন। তিনি আশ্বস্ত করে বলেন, "আমাদের সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে, যাতে নির্দোষ কেউ শাস্তি না পান।"
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ও জনগণের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বিষয়ে জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়ে আসিফ নজরুল বলেন, “বন্যার কারণে ডিমসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। ফলে তরকারির দামও বেড়ে গেছে, যার ফলে বিক্রি কমে গেছে।” তিনি আরও অভিযোগ করেন, "পূর্ববর্তী সরকারের সময়ে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা হতো।"
উপদেষ্টার দায়িত্বে ৭০ দিন: ভুল স্বীকার
উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার ৭০ দিনের অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ভুল হতেই পারে, কারণ আমার অভিজ্ঞতাও সীমিত। তবে আমি জেনে-বুঝে কখনও অন্যায় করিনি। যদি কোনো নীতিগত ভুল হয়ে থাকে, সেটি আমার অজান্তেই হয়েছে। তবে ব্যক্তিগত স্বার্থে কোনো কাজ করিনি।”
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের ঘোষণা
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে তিনি বলেন, "এই আইন নিয়ে মানুষের নেতিবাচক মনোভাব তৈরি হয়েছে। তাই আমরা এটি পুরোপুরি বাতিলের প্রক্রিয়ায় আছি, কারণ মানুষ এই ধরনের আইন আর শুনতে চায় না।"
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাংবাদিকদের বিচার হবে না বলে নিশ্চিত করেছেন আসিফ নজরুল। তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার ঢালাও মামলা যাচাই-বাছাই করে পরিচালনা করছে এবং দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির জন্য জনগণের কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।