সেবা ডেস্ক: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের মধ্যে মতবিরোধ বাড়ছে। সামাজিক মাধ্যমে সমন্বয়কদের স্বৈরাচারী আচরণ নিয়ে চলছে তীব্র সমালোচনা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর থেকে আন্দোলনের সমন্বয়কদের ভেতর মতবিরোধ বাড়ছে। শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর আন্দোলনের মুখে দাঁড়ালেও এখন আন্দোলনটি বিভক্তির দিকে যাচ্ছে। প্রধান চার সমন্বয়কের মধ্যে দুইজন উপদেষ্টা পরিষদে স্থান পেলেও বাকিরা বাদ পড়ায় সংগঠনটির মধ্যে নানা ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম, যারা সরকার পতনের পর আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, তারা তাদের অবস্থান ধরে রাখতে পারছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে সংগঠনটির কর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ছড়িয়ে পড়েছে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক ও সহ-সমন্বয়করা অনিয়মের অভিযোগ তুলে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন।
সম্প্রতি ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন’-এ সারজিসকে সম্পাদক করার সিদ্ধান্ত ও কিছু সমন্বয়কের নতুন প্ল্যাটফর্ম গঠনের ঘোষণায় সংগঠনটির ভবিষ্যৎ নিয়ে সংশয় সৃষ্টি হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আন্দোলনের নেতাদের প্রতি সাধারণ শিক্ষার্থীদের সমালোচনামূলক মন্তব্যও উঠে আসছে। ইউসুফ জুয়েল, এ এইচ এস, এমডি মনির ও আবদুল্লাহ আল নোমানসহ অনেকেই আন্দোলনের নেতাদের বিরুদ্ধে নানা মন্তব্য করেছেন। তারা বর্তমান পরিস্থিতিকে আরও অবনতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে বলে মত প্রকাশ করেছেন।
আন্দোলনের কিছু নেতার স্বৈরাচারী আচরণের সমালোচনা করে একজন মন্তব্য করেছেন, "আমরা (সমন্বয়করা) যেটা দাবি করি ওটাই আইন।" এই ধরনের মন্তব্য নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।