শাহ্ মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান: জামালপুরের চন্দ্রা দেবের পাড়ের দীঘিটি রাজা হরিশচন্দ্র পালের আমলে খনন করা হয়েছিল বলে কথিত আছে। এই প্রাচীন দীঘি রাজা হরিশচন্দ্রের দীঘি নামেও পরিচিত।
হরিশ্চন্দ্রের দীঘির পাড়ে দাঁড়িয়ে বাঁ দিক থেকে খুরশিদী, অর্ফিয়াস, মোসাম্মৎ মাজেদা খাতুন, রুশিদী |
এই দিঘি নিয়ে অনেক কাহিনি প্রচলিত আছে। একটি কাহিনি এ রকম রাজা হরিশচন্দ্র এক রাতে এ বৃহৎ দীঘিটি খনন করান ।
কিন্ত দিঘিতে আর পানি উঠে না । রাতে রাজা স্বপ্ন দেখেন যে তার স্ত্রী কমলা যদি দীঘিতে নামেন তাহলে দিঘিতে পানি উঠবে।
সেই কথা মতো রানী কমলা দীঘির মাঝখানে নামলেন আর তখনি দীঘিতে পানি উঠতে শুরু করলো এবং দীঘি কানায়-কানায় ভরে উঠলো। রানী কমলা আর দীঘি থেকে উঠে আসতে পারলো না।
দীঘির পানিতে চিরতরে হারিয়ে গেল রাজা হরিশ্চন্দ্রের স্ত্রী কমলা । রাজা হরিশ্চন্দ্রের দীঘির করুণ কাহিনি নিয়ে চন্দ্রাবতী নামে একটি নৃত্য নাট্য রয়েছে।
এক সময় এই দিঘির মনোরম পরিবেশ আর বৃক্ষরাজির শোভায় মুগ্ধ হতেন প্রকৃতি প্রেমীরা।
সম্প্রতি উঠন্তি বয়সে ছেলেমেয়েরা এখানে আড্ডার আসর জমাতো, তারা নানা অপকর্মে জড়িত থাকে। সঙ্গত কারণেই এই দিঘি স্বত্বাধিকারীরা বিভিন্ন প্রজাতির কয়েক হাজার গাছ কেটে ফেলে বিরান করা হয়েছে এই দীঘির পাড়।
০৪.১০.২০২৪ তারিখে সরেজমিন দেখা যায়, কয়েকশত গাছ কেটে বিক্রি করে দিয়েছেন। শত শত গাছের মোথা এখনও দৃশ্যমান।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।