সেবা ডেস্ক: এসএসসি-এইচএসসির ফলাফলে বৈষম্যের অভিযোগে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে বিক্ষোভ। চাপের মুখে বোর্ড চেয়ারম্যান পদত্যাগের ঘোষণা দেন, দাবি উঠেছে ফলাফল পুনর্মূল্যায়নের।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের পদত্যাগের ঘোষণা: ফলাফলে বৈষম্য নিয়ে বিক্ষোভে উত্তাল শিক্ষার্থীরা।। ছবি: প্রথম আলো |
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ এবং ভবনে ভাঙচুরের ঘটনায় পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার। এসএসসির সব বিষয়ে ‘ম্যাপিং’ পদ্ধতিতে এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশের বৈষম্য নিয়ে শিক্ষার্থীদের তীব্র ক্ষোভের মুখে আগামীকাল সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেবেন বলে তিনি জানিয়েছেন।
এই বছরের এইচএসসি পরীক্ষা ৩০ জুন শুরু হয়, তবে বিভিন্ন কারণে কয়েকবার পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা সংস্কারের আন্দোলনের প্রভাবেও এইচএসসি পরীক্ষা বিঘ্নিত হয়। স্থগিত হওয়া ছয়টি বিষয়ের পরীক্ষা বাতিল করে এসএসসি নম্বরের ভিত্তিতে (ম্যাপিং পদ্ধতিতে) চূড়ান্ত ফলাফল তৈরি করা হয়।
ফলাফল প্রকাশের পর শিক্ষার্থীরা বৈষম্য এবং অসম মূল্যায়নের অভিযোগ তোলে। শিক্ষার্থীরা দাবি করে, এসএসসি-এইচএসসি সব বিষয়ে নতুন করে ‘ম্যাপিং’ করে বৈষম্যমুক্ত ফলাফল প্রকাশ করতে হবে।
আজ দুপুর থেকে ‘এইচএসসি ব্যাচ ২০২৪’ ব্যানারে একদল শিক্ষার্থী ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে বিক্ষোভ শুরু করে। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে অকৃতকার্য এবং কৃতকার্য উভয় শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। ফটকের তালা ভেঙে ভবনের ভেতরে ঢুকে তারা চেয়ারম্যানের কক্ষেও ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বোর্ডের কর্মকর্তারা অভিযোগ করেন, শিক্ষার্থীরা কক্ষের আসবাব ও নথিপত্র ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ফেলে। বিক্ষোভ চলাকালে চকবাজার থানার ওসি রেজাউল হোসেন জানান, ধাক্কাধাক্কিতে কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
বিক্ষোভের তীব্রতা দেখে অধ্যাপক তপন কুমার সরকার শিক্ষার্থীদের সামনে গিয়ে আগামীকাল পদত্যাগের ঘোষণা দেন। তবে তিনি জানান, ফলাফল প্রকাশের সিদ্ধান্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় নেওয়া হয়েছে, তাই তার পক্ষে আর কিছু করা সম্ভব নয়।
পদত্যাগের ঘোষণা সত্ত্বেও শিক্ষার্থীরা বোর্ড প্রাঙ্গণে অবস্থান করে। এ ঘটনায় সনদ ও নম্বরপত্র নিতে আসা মানুষ ভোগান্তিতে পড়েন, এবং তাদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
মন্ত্রণালয়ে শিক্ষার্থীদের দাবি পাঠানো হবে বলে চেয়ারম্যান আশ্বাস দিলেও বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা হামলার বিচার এবং বোর্ডের পুনর্মূল্যায়নের দাবি জানাচ্ছে।
একজন অভিজ্ঞ কর্মকর্তা মন্তব্য করেন, "এই বিক্ষোভ শুধু ফলাফল নিয়ে নয়, বরং এটি শিক্ষার্থীদের হতাশা ও আস্থার সংকটের প্রতিফলন।"
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।