সেবা ডেস্ক: বাংলাদেশে উদ্ভাবিত নতুন জাতের সফেদা "বিনাসফেদা-১" বিদেশে রফতানি ও স্থানীয় বাজারে প্রাপ্যতার উন্নতির সম্ভাবনা রাখে।
সফেদার নতুন জাত উদ্ভাবন: রফতানির মাধ্যমে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির সম্ভাবনা |
বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিনা) উদ্যানতত্ত্ব বিভাগ সফেদার নতুন একটি উন্নত জাত উদ্ভাবন করেছে, যা কৃষকদের জন্য বাণিজ্যিকভাবে লাভজনক হওয়ার পাশাপাশি বিদেশে রফতানিরও সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে। বিনাসফেদা-১ নামে এই নতুন জাতটি উদ্ভাবনের মাধ্যমে সফেদার পুষ্টিগুণসমূহ আরও উন্নত করা হয়েছে। এর বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবক ড. শামসুল আলম মিঠু জানান, এটি একটি নাবী জাতের সফেদা, যার ফল আকারে বড়, রসালো, মিষ্টি ও সুগন্ধিযুক্ত এবং প্রচলিত জাতের তুলনায় এর বীজ ছোট ও চামড়া খুবই পাতলা। ফলে এর ভক্ষণযোগ্য অংশ প্রায় ৭৫-৯০% পর্যন্ত থাকে।
ইনস্টিটিউট সূত্রে জানা যায়, সফেদার এই জাতের উন্নয়ন শুরু হয়েছিল ২০১৬ সালে। তখন গবেষণার মাধ্যমে সফেদার সায়নে গামা রেডিয়েশন ও ইএমএস প্রদান করা হয়, যার ফলে দুটি উন্নত মিউট্যান্ট শনাক্ত হয়। জাতটির উচ্চ ফলনশীলতা এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা প্রচলিত জাতের চেয়ে অনেক বেশি। এতে ভিটামিন সি রয়েছে ১৫.৫৮ মিলিগ্রাম/১০০ গ্রাম এবং টিএসএসের পরিমাণ ২৪-২৮ শতাংশ, যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী।
ড. শামসুল আলম মিঠু বলেন, সফেদা চাষের জন্য উপযোগী বেলে-দোআঁশ ও দোআঁশ মাটি এবং উষ্ণ ও আর্দ্র জলবায়ু উপযোগী। গাছটির অল্প সময়ে ভালো ফলন দেয়ার ক্ষমতা রয়েছে, যা কৃষকদের অর্থনৈতিক উন্নতির পথ সুগম করবে এবং আন্তর্জাতিক বাজারেও বাংলাদেশের সফেদা রফতানির নতুন দ্বার উন্মুক্ত করবে।
বিনার মহাপরিচালক ড. মো. আবুল কালাম আজাদ উল্লেখ করেন, বিনাসফেদা-১ এর চাষাবাদের মাধ্যমে বাংলাদেশে সফেদার সরবরাহ ও প্রাপ্যতা বাড়বে, ফলে বাজারে দামও কমে আসবে এবং বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা নিয়ে এ ফলটি দেশের প্রতিটি ঘরে পৌঁছে যাবে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।