সেবা ডেস্ক: রেমিট্যান্স বৃদ্ধির ফলে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কিছুটা উন্নতি করেছে, তবে নিট রিজার্ভ ১৫ বিলিয়নের নিচে।
প্রবাসী আয়ে উন্নতি, তবে রিজার্ভ সংকট কাটেনি
গত দুই মাসে প্রবাসী আয় বৃদ্ধির ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর কিছুটা ইতিবাচক প্রভাব পড়লেও, দেশের নিট আন্তর্জাতিক রিজার্ভ (এনআইআর) এখনো ১৫ বিলিয়ন ডলারের নিচে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ৮ অক্টোবর পর্যন্ত মোট রিজার্ভ ২৪ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন ডলার, আর আইএমএফের বিপিএম-৬ হিসাব অনুযায়ী রিজার্ভ ১৯ দশমিক ৮২ বিলিয়ন ডলার। তবে, প্রকৃত ব্যয়যোগ্য রিজার্ভের পরিমাণ ১৪ দশমিক ৭১ বিলিয়ন ডলারে অবস্থান করছে, যা তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর জন্য অপর্যাপ্ত।
রেমিট্যান্সের অবস্থা
সম্প্রতি রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে। ২০২৪ সালের আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে প্রবাসী আয়ের বৃদ্ধি লক্ষ করা গেছে। সেপ্টেম্বর মাসে ২ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার (২৪০ কোটি ৪৮ লাখ) রেমিট্যান্স এসেছে, যা গত চার বছরের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। জুলাই মাসে ১৯০ কোটি মার্কিন ডলার প্রবাসী আয় ছিল, যা গত ১০ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন।
রিজার্ভ সংকটের প্রেক্ষাপট
২০২১ সালের আগস্টে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ সর্বোচ্চ ৪৮ বিলিয়ন ডলারে উঠলেও বর্তমানে তা কমে এসেছে। রিজার্ভ কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ হলো বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে চাহিদা মেটাতে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি। আইএমএফের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার (১৪.৮৮ বিলিয়ন) তুলনায় বর্তমান ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ কমে গেছে।
বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে কিছুটা উন্নতি হলেও, নিট রিজার্ভ এখনও সংকটে রয়েছে। প্রবাসী আয় বৃদ্ধি দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখলেও, স্থিতিশীল রিজার্ভ নিশ্চিত করতে আরো সময় প্রয়োজন।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।