সেবা ডেস্ক: জাতীয় নাগরিক কমিটি জানিয়েছে, রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের সিদ্ধান্ত গোলটেবিল বৈঠকে নয়, রাজপথে হবে। ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
জাতীয় নাগরিক কমিটি বুধবার স্পষ্ট করেছে যে, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন কোথায় যাবেন সে সিদ্ধান্ত কোনো গোলটেবিল বৈঠকে নয়, রাজপথেই হবে। বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানানো হয়, যেখানে ৭২-এর মুজিববাদী সংবিধান বাতিল এবং রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের অপসারণের দাবিতে বক্তব্য রাখেন নেতারা।
সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, “এখনো ফ্যাসিবাদ বিলুপ্ত হয়নি। যারা ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলন করেছে, তারা কখনোই বাহাত্তরের সংবিধানের পক্ষে থাকতে পারে না।” তিনি দাবি করেন, “যারা সাংবিধানিক ধারার দোহাই দিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে তার পদে দেখতে চান, তাদের প্রতি আমাদের আহ্বান থাকবে যে তারা তাদের অবস্থান স্পষ্ট করুন।”
হাসনাত আরো বলেন, “মূল কথা হচ্ছে বাহাত্তরের সংবিধান বাতিল করতে হবে এবং নতুন একটি সংবিধান লিখতে হবে যেখানে গণঅভ্যুত্থানের স্পিরিট প্রাধান্য পাবে। কোনো ধরনের ফ্যাসিবাদী সরকারের পুনরুত্থান ঠেকাতে হবে।”
বঙ্গভবন ঘেরাও নিয়ে তিনি জানান, “আমাদের দাবি রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগ। তবে এ ধরনের আন্দোলন আমরা চাই না।” তিনি আন্দোলনকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আপনারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ওপর আস্থা রাখুন। আমরা একসঙ্গে নেতৃত্ব দিয়ে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করব।”
তিনি বলেন, “আজ মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রলীগের মিছিল হয়েছে। তবে আমরা ছাত্রলীগের বিষয়ে আপসহীন। একটি জঙ্গি সংগঠন হিসেবে তাদের বিরুদ্ধে যত প্রমাণ প্রয়োজন, সব আছে। আমরা অনতিবিলম্বে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধের দাবি জানাই।”
এর আগে, মঙ্গলবার বিকেলে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ দাবিতে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে বিক্ষোভ করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যরা। তারা চলতি সপ্তাহের মধ্যে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগসহ পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরেন।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।