সেবা ডেস্ক: জিরা চাষের সম্পূর্ণ তথ্য পেতে এই নিবন্ধটি পড়ুন। জমি প্রস্তুতি, বীজ বপন, সার প্রয়োগ, পরিচর্যা এবং ফসল তোলার পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন। বাংলাদেশে লাভজনক একটি কৃষি পদ্ধতি হিসেবে জিরা চাষকে বিবেচনা করুন।
জিরা চাষ: বাংলাদেশে লাভজনক একটি কৃষি পদ্ধতি |
বাংলাদেশের অনুকূল আবহাওয়া জিরা চাষের জন্য উপযোগী। সঠিক পরিচর্যা ও কৌশল অবলম্বন করলে জিরা চাষ থেকে উচ্চ ফলন পাওয়া সম্ভব। এই নিবন্ধে জিরা চাষের বিস্তারিত পদ্ধতি, জমি প্রস্তুতি, সার প্রয়োগ, পরিচর্যা এবং ফসল তোলার পদ্ধতি বর্ণনা করা হয়েছে।
জিরা একটি মূল্যবান মসলা যা বাংলাদেশের রান্নাঘরে প্রায়শই ব্যবহৃত হয়। এর চাহিদা সারা বছরই থাকে। সুতরাং, জিরা চাষ কৃষকদের জন্য একটি লাভজনক বিকল্প হতে পারে।
জিরা চাষের জন্য উপযোগী জমি:
সুনিষ্কাশিত, উর্বর, গভীর এবং বেলে দোঁআশ মাটি জিরা চাষের জন্য আদর্শ। জমিটি ভালভাবে প্রস্তুত করা উচিত। ৫-৮টি লাঙ্গল দিয়ে জমি ঝুরঝুরে করে নিতে হবে।
বীজ বপন:
- বীজের পরিমাণ: প্রতি হেক্টরে ১২-১৫ কেজি বীজ ছিটিয়ে বপন করা হয়। সারিতে বপন করলে প্রতি হেক্টরে ৮-১০ কেজি বীজ লাগে।
- বপনের সময়: অক্টোবর-নভেম্বর মাস বীজ বোনার জন্য উপযুক্ত সময়।
- বীজ শোধন: বোনার আগে বীজকে ভিটাভেক্স দিয়ে শোধন করতে হবে।
সার প্রয়োগ:
- জৈব সার: হেক্টর প্রতি ৫ টন জৈব সার প্রয়োগ করা উচিত।
- রাসায়নিক সার: শেষ চাষের আগে ২০ কেজি ইউরিয়া, ৮০-১০০ কেজি টিএসপি ও ৭০-৭৫ কেজি এমওপি সার প্রয়োগ করতে হবে।
- উপরি প্রয়োগ: বীজ বোনার ৩০ দিন পর এবং ৬০ দিন পর ২০ কেজি করে ইউরিয়া উপরি প্রয়োগ করতে হবে।
পরিচর্যা:
- আগাছা পরিষ্কার: বীজ বোনার ২৫-৩০ দিন পর আগাছা এবং অতিরিক্ত চারা তুলে ফেলতে হবে।
- সেচ: জমিতে যথেষ্ট পরিমাণ জল থাকা জরুরি। ফুল আসার সময়ে এবং জিরা পুষ্ট হওয়ার সময়ে মাটি শুকনা না থাকতে হবে।
ফসল তোলা:
- সময়: ৯০-১১০ দিনের মধ্যে জিরা তোলা যায়।
- পদ্ধতি: ফসল পেকে গেলে ছোট ছোট আঁটি বেঁধে, খামারে এনে তারপর রোদে শুকিয়ে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে বীজ জিরা আলাদা করতে হয়।
ফলন:
ভালভাবে চাষ করলে হেক্টর প্রতি ৮০০-১০০০ কেজি ফলন পাওয়া সম্ভব।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।