সেবা ডেস্ক: শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মামলাকে বেআইনি ও ষড়যন্ত্রমূলক দাবি করে আওয়ামী লীগ তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। দলটি সংবিধান লঙ্ঘনের শাস্তির কথাও উল্লেখ করেছে।
গণহত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা: আওয়ামী লীগের তীব্র প্রতিবাদ |
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে দলটি। আওয়ামী লীগ এই মামলাকে অসাংবিধানিক ও বেআইনি আখ্যা দিয়ে একে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র হিসেবে বর্ণনা করেছে।
আওয়ামী লীগের প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা
শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) রাতে আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে দলের অবস্থান স্পষ্ট করা হয়। এতে বলা হয়, গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ আইন করেছিলেন। সেই আইনের আওতায় শেখ হাসিনার সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছে, যা আন্তর্জাতিক মহলে প্রশংসিত হয়েছে।
আওয়ামী লীগ বলেছে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ ও প্রতিশোধমূলক উদ্দেশ্যে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি এক ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দায়ের করেছে। মামলাটিকে অসাংবিধানিক ও বেআইনি আখ্যা দিয়ে দলটি তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
গ্রেপ্তারি পরোয়ানা: প্রতিক্রিয়া ও অভিযোগ
বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ দাবি করেছে, অন্তর্বর্তীকালীন অবৈধ সরকার মিথ্যা ও কাল্পনিক তথ্যের ভিত্তিতে মামলা দায়ের করেছে এবং আইনের শাসনকে অবমাননা করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। দলটি এই উদ্যোগকে ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র হিসেবে বর্ণনা করে বলেছে, এটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে নিন্দিত হবে।
দলটির দাবি অনুযায়ী, ছাত্র ও জনতার আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস চালিয়ে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী এবং পুলিশ সদস্যদের টার্গেট করে হত্যা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টানসহ নানান সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতনকে গণহত্যার পর্যায়ে ফেলেছে দলটি।
সংবিধান ও আদালতের অবস্থান প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ
বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ বলেছে, "আমাদের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৭(খ) অনুযায়ী সংবিধান লঙ্ঘন করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলকারীরা সর্বোচ্চ শাস্তি, অর্থাৎ মৃত্যুদণ্ডের আওতায় পড়বে।" দলটি অতীতে অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা দখলকারীদের বিরুদ্ধে জনগণের প্রত্যাখ্যানের ইতিহাস তুলে ধরে অনতিবিলম্বে বর্তমান সরকারের ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া নিয়ে প্রত্যাশা
আওয়ামী লীগ আশা প্রকাশ করেছে, বাংলাদেশের জনগণ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই ষড়যন্ত্রমূলক উদ্যোগকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করবে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "পৃথিবীর অন্যান্য দেশের আদালতের মতো বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টও অসাংবিধানিক শক্তিকে অবৈধ ঘোষণা করেছে।"
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।