কানাডা-ভারত কূটনৈতিক উত্তেজনা: ট্রুডোর হুঁশিয়ারি ও বিদেশি হস্তক্ষেপ

Seba Hot News : সেবা হট নিউজ
0

সেবা ডেস্ক: কানাডা-ভারত কূটনৈতিক টানাপোড়েন তীব্রতর হচ্ছে। নিজ্জার হত্যাকাণ্ডে ভারতের জড়িত থাকার অভিযোগে ট্রুডোর হুঁশিয়ারি ও বিদেশি হস্তক্ষেপ নিয়ে জানুন বিস্তারিত।

কানাডা-ভারত কূটনৈতিক উত্তেজনা ট্রুডোর হুঁশিয়ারি ও বিদেশি হস্তক্ষেপ
কানাডা-ভারত কূটনৈতিক উত্তেজনা: ট্রুডোর হুঁশিয়ারি ও সার্বভৌমত্বের লড়াই


কানাডা-ভারত কূটনৈতিক উত্তেজনা: ট্রুডোর হুঁশিয়ারি ও সার্বভৌমত্বের লড়াই

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, ভারতের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে, তাতে ভারত কানাডার সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপ করতে পারবে ভেবে মারাত্মক ভুল করেছে। বুধবার (৬ দিন আগে ভারতীয় কূটনীতিকদের বহিষ্কারের পর) ট্রুডো এই মন্তব্য করেন, যা দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

ট্রুডো বলেন, কানাডার ভেতরে ভারতীয় কূটনীতিকরা শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জারের হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিলেন এবং তারা কানাডায় ভারতীয় ভিন্নমতাবলম্বীদের লক্ষ্যবস্তু করার একটি বিস্তৃত পরিকল্পনায় অংশ নিয়েছিলেন। ট্রুডোর দাবি, ভারতীয় কূটনীতিকরা কানাডায় বিদেশি ভিন্নমতাবলম্বীদের দমন করার জন্য সক্রিয় ছিলেন, যা ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির প্রভাবকেই প্রকাশ করে।

কানাডা-ভারত কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতি

নিজ্জারের হত্যা নিয়ে দুই দেশের মধ্যে প্রায় এক বছর ধরে চলমান কূটনৈতিক টানাপোড়েনের প্রভাব এখন ব্যাপকভাবে দৃশ্যমান। ২০২৩ সালে ট্রুডো কানাডার সংসদে দাবি করেছিলেন, খালিস্তানপন্থী নেতা নিজ্জরের হত্যার পেছনে ভারতের হাত থাকতে পারে। এর পর থেকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ক্রমেই অবনতির দিকে যায়।

ভারতের প্রতিক্রিয়া ও কূটনৈতিক টানাপোড়েন

ভারত ট্রুডোর অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে এবং এই অভিযোগকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে উল্লেখ করেছে। কানাডার সিদ্ধান্তের জবাবে ভারতও তাদের কয়েকজন কূটনীতিককে প্রত্যাহার করে নেয় এবং কানাডার নাগরিকদের জন্য ভিসা সেবা স্থগিত করে।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, কানাডার অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন এবং কূটনৈতিক সম্পর্ককে হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে। ভারত মনে করছে, ট্রুডোর মন্তব্যগুলো রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নের অংশ

শিখ নেতা নিজ্জারের ভূমিকা ও হত্যার পরিণতি

হরদীপ সিং নিজ্জার, যিনি খালিস্তানপন্থী নেতা ছিলেন, ভারতের পাঞ্জাবে একটি স্বাধীন শিখ রাষ্ট্র গঠনের পক্ষে প্রচারণা চালাতেন। ২০২৩ সালে কানাডায় তিনি হত্যাকাণ্ডের শিকার হন, যার জেরে কানাডা ভারতের ওপর সন্দেহ প্রকাশ করে।

ট্রুডোর হুঁশিয়ারি ও ভবিষ্যতের কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জ

ট্রুডো বলেছেন, কানাডার সার্বভৌমত্বে আঘাত হানার চেষ্টা হলে তিনি পিছপা হবেন না। তিনি আরও বলেন, ভারতের এ ধরনের হস্তক্ষেপ কানাডার নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি সৃষ্টি করছে। তবে কানাডা বাণিজ্যিক সম্পর্ক বজায় রাখতে চাইলেও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে কোনো ছাড় দেবে না।

ভারত ও কানাডার সম্পর্ক বর্তমানে নতুন এক তলানিতে পৌঁছেছে। দুই দেশের কূটনৈতিক সংকট গভীরতর হচ্ছে, যার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে নিজ্জারের হত্যা ও বিদেশি হস্তক্ষেপের অভিযোগ। পরিস্থিতি যদি সমাধান না হয়, তাহলে এর প্রভাব কেবল দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং বাণিজ্যিক সম্পর্কেও এর বড় ধরনের প্রভাব পড়তে পারে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top