সেবা ডেস্ক: বকশীগঞ্জে সবজির চড়া দাম ক্রেতাদের ভোগান্তি বাড়াচ্ছে। সিন্ডিকেট ও মনিটরিং টিমের অভাবে বাজারে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে।
জামালপুরের বকশীগঞ্জে গত কয়েকদিন ধরে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি ক্রেতাদের ভোগান্তি বাড়িয়েছে। কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির অজুহাতে বাজারে সবজির দাম আরও বেড়েছে। বাজারে বেশিরভাগ সবজি ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিপ্রতি ১০-২০ টাকা বেশি। কিছু সবজির দাম কেজিপ্রতি ১০০ টাকারও বেশি। অথচ বাজারে কোনো মনিটরিং টিমের কার্যক্রম দেখা যাচ্ছে না।
১৪ অক্টোবর (সোমবার) বকশীগঞ্জের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সবজির পাশাপাশি চিনি, চাল, আটা, ডাল, মাছ এবং মাংসের দামও বেড়েছে। টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৪০০ টাকা, গাজর ২৫০ টাকা, লাউ ১০০ টাকা প্রতি পিস, বেগুন ১৪০ টাকা এবং পটল ১০০ টাকা কেজি দরে। শসা ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ১২০ টাকা, বরবটি ১৪০ টাকা, আদা ২০০ টাকা, রসুন ২৪০ টাকা এবং পেঁয়াজ ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া গরুর মাংস ৭৫০ টাকা কেজিতে পাওয়া যাচ্ছে।
বাজার করতে আসা ক্রেতারা অসন্তোষ প্রকাশ করে জানান, সরকারের বাজার নিয়ন্ত্রণের অভাবে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে অতিরিক্ত মুনাফা করছে। ছোট চাকরিজীবী মনিরুজ্জামান বলেন, “আমাদের আয়ে তো কোনো পরিবর্তন আসেনি, কিন্তু বাজারের সবকিছুর দাম আকাশ ছুঁয়েছে। এই দামে জীবন চালানো খুবই কঠিন।”
অপর এক ক্রেতা রাসেল বলেন, “সরকার পরিবর্তনের পর ভেবেছিলাম, সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য কমবে। কিন্তু কোনো পরিবর্তন দেখছি না, বরং বাজারের দাম আরও বেড়ে চলেছে।”
বিক্রেতারা দাবি করেছেন, টানা বৃষ্টির কারণে ফসলের সরবরাহ কম থাকায় তাদেরও বেশি দামে পণ্য কিনতে হচ্ছে। ফলে বাধ্য হয়ে উচ্চমূল্যে বিক্রি করতে হচ্ছে।
বকশীগঞ্জের বিভিন্ন বাজারের ক্রেতারা মনে করেন, বাজার নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যান্য সফলতা ম্লান হয়ে যাবে। তারা দ্রুত মনিটরিং টিম গঠন এবং কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানান।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।