সেবা ডেস্ক: বকেয়া বিলের কারণে আদানি পাওয়ার বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের হুমকি দিয়েছে। ফলে দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সংকটের মুখে বানসখালী ও রামপালসহ বেশ কিছু বিদ্যুৎকেন্দ্র।
আদানির বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের হুমকি: উৎপাদন কমিয়েছে দেশের বিভিন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্র |
ভারতের ঝাড়খণ্ডে আদানি পাওয়ার লিমিটেডে’র ১,৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করার হুমকি দেওয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্তে’র কারণ হিসেবে আদানি গ্রুপ দাবি করেছে প্রায় ১০,০৮৬ কোটি টাকার বকেয়া বিল ও এলসি ঘাটতি। ফলে বাংলাদেশে’র বেশ কয়েকটি পাওয়ার প্ল্যান্ট, যেমন ১,২২৪ মেগাওয়াট এস আলম-এর বাসখালী প্ল্যান্ট এবং ১,৩২০ মেগাওয়াট বাংলাদেশ-ভারত যৌথ উদ্যোগের রামপাল প্ল্যান্ট বিদ্যুৎ উৎপাদন উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে দিয়েছে। এই পরিস্থিতি’তে ১,০০০ মেগাওয়াট-এর বেশি লোডশেডিং হচ্ছে, যা বিদ্যুৎ পরিস্থিতিকে আরও সংকটে ফেলেছে।
আদানি পাওয়ার (ঝাড়খন্ড) লিমিটেডের প্রতিনিধি’রা জানিয়েছেন, বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (বিপিডিসি) কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে ১৭০.০৩ মিলিয়ন ডলারের এলসি প্রদান করতে পারেনি এবং বকেয়া ৮৪৬ মিলিয়ন ডলার পরিশোধেও ব্যর্থ। এ প্রসঙ্গে আদানি জানান, এ কারণে পাওয়ার পচেজ অ্যাগ্রিমেন্ট অনুযায়ী “মেটেরিয়াল ডিফল্ট” হয়েছে এবং এ অবস্থা’য় বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু রাখা কঠিন। আদানি গ্রুপ ৩০ অক্টোবর ২০২৪-এর মধ্যে এই ডিফল্টগুলো সমাধান করতে বলেছে, অন্যথা’য় তারা ৩১ অক্টোবর থেকে সরবরাহ বন্ধ করতে পারে।
অন্যদিকে, দেশের অন্যান্য বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলিও বিভিন্ন বকেয়া ও চালান সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। এস আলম গ্রুপের ১,২২৪ মেগাওয়াট বাসখালী প্ল্যান্ট ২,০০০ কোটি টাকা’র বকেয়া পরিশোধ নিয়ে চ্যালেঞ্জের মধ্যে আছে, এছাড়াও বাংলাদেশ-চীন যৌথ উদ্যোগে’র ১,৩২০ মেগাওয়াটের ইউনিট ২ নভেম্বর থেকে দুই মাসের জন্য সংস্কা’রে’ যাবে। এই কারণে দেশজুড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ সংকট আরও প্রকট হয়ে উঠতে পারে।
বিপিডিসির চেয়ারম্যান রেজাউল করিম জানিয়েছে’ন, বিপিডিসির বকেয়া বিদ্যুৎ ক্রয়ের দায় বর্তমানে ৩২,০০০ কোটি টাকায় পৌঁছেছে এবং মাসিক ঘাটতি প্রায় ৩,৫২১ কোটি টাকা। বিদ্যুতের মূল্য ও উৎপাদন খরচের মাঝে এই বিশাল ব্যবধান বাংলাদেশে চলমান বিদ্যুৎ সংকট’কে আরও তীব্র করেছে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।