সেবা ডেস্ক: বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য অনেক প্রতিষ্ঠানের মতো হুয়াওয়েও বন্যার্তদের সাহায্য করার লক্ষ্যে এগিয়ে এসেছে।
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক বন্যা ৫৭ লাখের বেশি মানুষকে ক্ষতিগ্রস্ত করার পাশাপাশি অগণিত পরিবারকে করেছে গৃহহীন।
দেশের বিভিন্ন এলাকা বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় অনেক জনগোষ্ঠী হারিয়েছে তাঁদের জীবিকা ও সম্পদ ।
তবে অনেক প্রতিকূলতা সত্ত্বেও দেশের মানুষ একত্রিত হয়ে দৃঢ়তার সাথে এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে। বন্যাদুর্গত এলাকায় ত্রাণ পৌঁছে দেয়ার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
কিন্তু ফেনী, কুমিল্লা, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট, লক্ষ্মীপুর ও কক্সবাজার – এই এগারোটি জেলা যেভাবে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাতে এসব এলাকার বার লক্ষরেও বেশি পরিবার বিশুদ্ধ পানির অভাবে ভুগছে।
এর ফলে এসব এলাকায় মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি ও রোগ বিস্তারের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে অন্যান্য অনেক প্রতিষ্ঠানের মতো হুয়াওয়েও বন্যার্তদের সাহায্য করার লক্ষ্যে এগিয়ে এসেছে। এই উদ্দেশ্যে অলাভজনক সংস্থা অভিযাত্রিক ফাউন্ডেশনের সাথে একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে হুয়াওয়ে।
বন্যাদুর্গত এলাকায় মেডিকেল ক্যাম্প স্থাপন ও বাড়িঘর নির্মাণের জন্য অভিযাত্রিক ফাউন্ডেশনকে তহবিল দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
হুয়াওয়ের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের প্রেসিডেন্ট ও হুয়াওয়ে বাংলাদেশের সিইও প্যান জুনফেং বলেন, “ভয়াবহ এই বন্যার কারণে বাংলাদেশে অকল্পনীয় ক্ষতি হওয়ায় হুয়াওয়ে পরিবার গভীরভাবে মর্মাহত। পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় আমরা বাংলাদেশের জনগণের পাশে দাঁড়াতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আমরা জানি যে, বন্যায় সব হারানো মানুষের কষ্টকে লাঘব করা সহজ নয়। কিন্তু যেহেতু আমরা শুধু একটি কোম্পানিই নই, এই সোসাইটির একজন দায়িত্বশীল কর্পোরেট সদস্যও; পুনর্বাসনের এই কঠিন যাত্রায় আমরা বাংলাদেশের জনগণের পাশে দাঁড়ানোকে আমাদের দায়িত্ব হিসেবে মনে করছি। তার ফলশ্রুতিতেই আমরা বন্যাকবলিত এলাকায় মেডিকেল ক্যাম্প স্থাপন ও ঘরবাড়ি পুনর্নির্মাণ করতে একসাথে কাজ করে যাব"
হুয়াওয়ের দেয়া তহবিল দুইটি ধাপে ব্যবহার করা হবে। প্রথম পর্যায়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় কয়েকটি বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র ও নৌকায় মেডিকেল ক্যাম্প স্থাপন করা হবে।
ক্যাম্পগুলোতে চিকিৎসকদের পরামর্শ, ওষুধ, পানি বিশুদ্ধকরণ কিট, বিশুদ্ধ পানি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সহায়তা বিনামূল্যে দেয়া হবে।
বন্যার পানি নেমে গেলে দ্বিতীয় পর্যায়ে বন্যাদুর্গত এলাকায় কিছু ক্ষতিগ্রস্তদের নিজস্ব জমিতে বিনামুল্যে বাড়ি নির্মাণ করে দে য়া হবে।
অভিযাত্রিক ফাউন্ডেশন উল্লিখিত সমঝোতা স্মারকের আওতায় সব মেডিকেল ক্যাম্প, বাড়ি নির্মাণ ও বিতরণ কার্যক্রম সমন্বয় এবং পরিচালনা করবে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।