সেবা ডেস্ক: জামালপুরের বকশীগঞ্জে জয়মনা ইছিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ে ১৫ পদের মধ্যে ৭টিতে প্রধান শিক্ষকের আত্মীয়দের নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। স্বজনপ্রীতি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক সমালোচনা।
জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার গোয়ালগাঁও পূর্বপাড়া জয়মনা ইছিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ে ১৫টি পদের মধ্যে ৭টি পদে প্রধান শিক্ষক আব্দুস ছালামের আত্মীয়-স্বজনের নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে স্থানীয় এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে এবং নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
জানা গেছে, ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিদ্যালয়টি ২০১০ সালে নিম্ন মাধ্যমিক এবং ২০২২ সালে মাধ্যমিক স্তরে এমপিওভুক্ত হয়। বর্তমানে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২৫০ হলেও শিক্ষক-কর্মচারীসহ মোট ১৫ জন কর্মরত রয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রধান শিক্ষক আব্দুস ছালাম তার আত্মীয়দের মধ্যে ভাতিজা মিজানুর রহমানকে সহকারী শিক্ষক (কৃষি শিক্ষা), ভাতিজা আক্তার হোসেনকে সহকারী গ্রন্থাগারিক, ভাতিজা লিটন মিয়াকে নৈশ প্রহরী, চাচাতো ভাইয়ের ছেলে সবুজ মিয়াকে পিয়ন, ভাতিজার স্ত্রী মনেজা বেগমকে আয়া, এবং শ্যালক রবিউল ইসলামকে সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন।
এ ঘটনায় স্থানীয় জনগণের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারা মনে করছেন, প্রধান শিক্ষক তার ক্ষমতা ও প্রভাব কাজে লাগিয়ে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিকে নিজের নিয়ন্ত্রণে রেখে স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে এই নিয়োগগুলো সম্পন্ন করেছেন।
অনেক যোগ্য প্রার্থী থাকলেও তাদেরকে নিয়োগ না দিয়ে নিজের আত্মীয়-স্বজনকে নিয়োগ দেওয়ায় নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এলাকাবাসী দাবি করছেন, এই নিয়োগ প্রক্রিয়া এবং পূর্বের নিয়োগগুলো সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে পুনর্মূল্যায়ন করা হোক।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক আব্দুস ছালাম জানান, তার পরিবার বিদ্যালয়কে ৭৬ শতাংশ জমি দান করেছে। তাই যোগ্যতার ভিত্তিতে তিনি তার আত্মীয়দের নিয়োগ দিয়েছেন বলে স্বীকার করেন।
এই ঘটনা স্থানীয় জনগণের মধ্যে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে, এবং বিদ্যালয়ের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পর্কে গভীর তদন্তের দাবি উঠেছে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।