সেবা ডেস্ক: নিশ্বাসের সঙ্গে শরীরে প্রবেশ করা বিষাক্ত ধোঁয়া এবং ধূলিকণার মাধ্যমে আমার এবং আপনার ফুসফুসের ক্যান্সার বেড়ে চলেছে দিনকে দিন। আর এসব দূষণের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ফুসফুসের নানা অসুখ-বিসুখও।
যদিও ধূমপান যারা করেন তাদের ক্ষেত্রে ফুসফুসের সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। তবে ধূমপান করুন আর নাই করুন, আপনার ফুসফুসে সমস্যা হতেই পারে।
এমন প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আপনি চাইলে মাত্র ২ দিনেই ফুসফুস থেকে দূষিত পদার্থকে ঝেড়ে পরিষ্কার করে ফেলতে পারেন। এর জন্য অনেক উপায় রয়েছে। তারা বলেন, ফুসফুসকে সতেজ রাখার তেমনই ১০টি উপায় সম্পর্কে আলোচনা করা হলো আপনার জন্য। এর মধ্য থেকে সুবিধা মতো যেকোনো ২টি পদ্ধতি বেছে নিন। ভালো থাকবে আপনার ফুসফুস।
তো দেখে নিন ফুসফুসের স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায়গুলো-
- দুই-তিন দিনের জন্য দুগ্ধজাতীয় সব খাবার বাদ দিন। এমনকী কফিও ছোঁবেন না।
- রাতে শুতে যাওয়ার আগে গরম গরম এক কাপ ‘গ্রিন টি’ খান।
- সকালে ঘুম থেকে উঠে উষ্ণ জলে লেবু মিশিয়ে পান করুন। লেবুর মধ্যে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ফুসফুস পরিষ্কার করে।
- সকালে প্রাত:রাশে যদি সম্ভব হয় আনারসের জুস খান।
- এখন বারো মাসই গাজর পাওয়া যায়। প্রাত:রাশে নিয়মিত গাজরের জুসও খেতে পারেন। এর ফলে রক্ত অ্যালকালাইজড হবে।
- দুপুরে মধ্যাহ্ন ভোজনের পর কলা খান। কলা পটাশিয়াম পরিষ্কারের প্রক্রিয়াকে সাহায্য করে।
- রাতে ক্র্যানবেরির জুস পান করুন। ফুসফুসে আশ্রয় নেয়া ব্যাকটেরিয়া দূর করতে সাহায্য করে।
- ব্যায়াম করলে, ঘন ঘন শ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে ফুসফুসের সঞ্চালন দ্রুত হয়। ফুসফুসকে স্বাভাবিক হতে সাহায্য করে।
- বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে সকালে স্টিম বাথ নিন। ঘামের সঙ্গে শরীরের বিষাক্ত পদার্থ বেরিয়ে যাবে।
- মুখ ঢেকে গরম পানির ভাপ নিন। পারলে পানিতে দু-ফোটা ইউক্যালিপটাসের তেল ফেলে দিন। এই পদ্ধতিতেও শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বেরিয়ে যায়।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।