বকশীগঞ্জ(জামালপুর)প্রতিনিধি: বকশীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম সাত্তার ও পৌর মেয়র ফকরুজ্জামান মতিনকে অপসারণ করায় বকশীগঞ্জে আনন্দ মিছিল ও সমাবেশ করেছে এলাকাবাসী।
সোমবার (১৯ আগস্ট) এবিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারির পর আনন্দ উল্লাসে ফেটে পড়েন বকশীগঞ্জবাসী।
দুপুরে বকশীগঞ্জ এনএম উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ থেকে আনন্দ মিছিল বের করেন কয়েকশ মানুষ। মিছিলটি উপজেলা পরিষদের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
মিছিল শেষে সমাবেশে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা মোতালেব হোসেন, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সরকার রাসেল, প্রভাষক রোকনুজ্জামান রুকন, ইউপি সদস্য মানিক খান, সাবেক যুবদল নেতা কাজী মিজান, আনিছুজ্জামান প্রমুখ।
বক্তারা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও পৌরসভার মেয়রকে অপসারণ করায় ড. ইউনুস এর নেতৃত্বাধীন সরকারকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
উল্লেখ্য, গতকাল রোববার (১৮ আগস্ট) ৮৭৬ জনপ্রতিনিধিকে অপসারণ করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। এর মধ্যে ৬০ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ৪৯৩ উপজেলা চেয়ারম্যান এবং ৩২৩ জন পৌর মেয়র রয়েছেন।
অন্যদিকে, ৪৯৫ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) উপজেলা পরিষদের প্রশাসক পদে নিয়োগ দিয়ে পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এছাড়া ৭টি পৌরসভার প্রশাসককে দায়িত্ব থেকে সরানো হয়েছে।
গত ১৬ আগস্ট ‘স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪ ’, ‘স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪ ’, ‘জেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’ ও ‘উপজেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’-এর খসড়া অনুমোদন করে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। পরদিন ১৭ আগস্ট এ সংক্রান্ত অধ্যাদেশ জারি করেন রাষ্ট্রপতি।
ঐ সংশোধনীর ফলে বিশেষ পরিস্থিতিতে অত্যাবশ্যক বিবেচনা করলে সরকার জনস্বার্থে কোনো সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভার মেয়র এবং কাউন্সিলরকে অপসারণ করতে পারবে। একইভাবে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্য এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানদের অপসারণ করতে পারবে। একই সঙ্গে এগুলোতে প্রশাসক নিয়োগ দিতে পারবে সরকার।
এই অধ্যাদেশ অনুযায়ী সারা দেশের জনপ্রতিনিধিদের অপসারণ করে প্রশাসক নিয়োগ দিচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।