জামালপুর সংবাদদাতা: চলমান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারিদের দাবির প্রেক্ষিতে জামালপুরের মেলান্দহ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. কামরুল আলম খান, রেজিস্টার সৈয়দ ফারুক হোসেন, ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর-ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারি অধ্যাপক এস.এম. ইউসুফ আলী, মির্জা আজম হলের ভারপ্রাপ্ত প্রভোস্ট-ফিশারিজ বিভাগের সহকারি অধ্যাপক পার্থ সারশী দাশ, এসিস্ট্যান্ট প্রক্টর সহকারি অধ্যাপক সুমিত কুমার পাল (ফিশারিজ বিভাগ), সমাজকর্ম বিভাগের সহকারি প্রভাষক ও পরিবহন পুলের সদস্য হোসাইন মাহমুদ।
এ ছাড়াও ডেসপাচ রাইডার মনিরুজ্জামানও বিশ^বিদ্যালয়ের কর্মচারি সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন।
জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তাদের পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পদত্যাগের বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ১১ আগস্ট সর্বশেষ ভিসি-রেজিস্টার পদত্যাগ করেছেন। বাকিরা ১০ আগস্ট পদত্যাগপত্র জমা দেন। ছাত্ররা ভিসিসহ বেশ ক’জনের পদত্যাগের আল্টিমেটাম দিয়ে ভিসি-রেজিস্টারসহ কয়েকজনের নেমপ্লেট নামিয়ে ফেলে।
পদত্যাগকারিদের মধ্যে পরিবহন পুলের সদস্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দাবির প্রেক্ষিতে পদত্যাগের কারণ উল্লেখ করেছেন। বাকিরা ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ছাত্রদের দাবির প্রেক্ষিতে ৯ আগস্ট রেজিস্টার সৈয়দ ফারুক হোসেন স্বাক্ষরিত এক পত্রাদেশে বিশ^বিদ্যালয়ে সকল রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণার খবরটি চাউর হয়েছে।
অপরদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-শিক্ষকরা বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের নাম ফলক মুছে জামালপুর প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের নাম যুক্ত করেছে। পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু-বঙ্গজননী এবং মির্জা আজমের ম্যূরালসহ ছাত্র হোস্টেল ভাংচুর করেছে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।