সেবা ডেস্ক: বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সারাদেশে বন্যাকবলিত এলাকায় উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। সেনাবাহিনী হেলিকপ্টার, স্থল পথ এবং স্পিড বোটের মাধ্যমে সর্বমোট ১২,৬১৫ প্যাকেট ত্রাণ সামগ্রী বন্যা দুর্গতদের মাঝে বিতরণ করেছে।-আইএসপিআর
বন্যা কবলিত এলাকায় চিকিৎসা সেবা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নতুন করে সেনাবাহিনীর বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের সমন্বয়ে ০৬টি মেডিকেল টিম মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া উদ্ধার কার্যক্রমের গতি বাড়ানোর জন্য অতিরিক্ত ১৬টি স্পিড বোট সংযোজন করা হয়েছে। আজকের উদ্ধার কার্যক্রমে ২১টি হেলি সর্টির মাধ্যমে উদ্ধার ও ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে এবং ১৯ জন রোগীকে জরুরী ভিত্তিতে হেলিকপ্টারের মাধ্যমে হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমে সহায়তার জন্য সেনাবাহিনীর ০৫টি হেলিকপ্টার (২টি এমআই, ২টি বেল ও ১টি ডওফিন), বিজিবির ১টি এমআই হেলিকপ্টার এবং র্যাবের ২টি বেল হেলিকপ্টার মোতায়েন রয়েছে। এ ছাড়া, আনম্যান্ড কম্ব্যাট এরিয়াল ভেহিক্যাল (ইউসিএভি) ব্যবহার করে বন্যা দুর্গতদের অবস্থান চিহ্নিত করা হচ্ছে এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণ সেলের সাথে সমন্বয় করে কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচল সচল রাখার লক্ষ্যে দুইটি ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড প্রাথমিকভাবে কাজ শুরু করেছে। এই ব্রিগেডগুলো ক্ষতিগ্রস্ত গোমতি নদীর বাঁধ রক্ষায়ও দায়িত্ব পালন করছে। এছাড়া, বন্যাকবলিত এলাকায় মোবাইল সংযোগ সচল করার জন্য সেনাবাহিনীর সহায়তায় বেসামরিক মোবাইল কোম্পানিগুলো টাওয়ার মেরামতের কাজ করছে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জাতির আস্থার প্রতীক হিসেবে বন্যার্তদের সহায়তায় এই কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে, যতদিন না পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।