সেবা ডেস্ক: সাম্প্রতিক বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাংলাদেশ নৌবাহিনী দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। গত বুধবার (২১ আগস্ট) থেকে ফেনী জেলার বন্যাকবলিত এলাকায় শুরু হওয়া উদ্ধার ও চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
নৌবাহিনীর কন্টিনজেন্টগুলো এ পর্যন্ত কয়েক হাজার মানুষকে উদ্ধার করেছে। প্রয়োজনীয় উদ্ধার সামগ্রী, বোট, লাইফ জ্যাকেট ও ডুবুরিসহ দুই শতাধিক নৌ সদস্য উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করছে। পানিবন্দি মানুষকে উদ্ধার করে ফেনী পলিটেকনিক্যাল ইন্সটিটিউটসহ বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসছে নৌ সদস্যরা।
খুলনার বন্যাকবলিত পাইকগাছা এলাকায় নৌবাহিনীর পৃথক কন্টিনজেন্ট নিয়োজিত রয়েছে এবং চট্টগ্রামের মিরসরাই এলাকায়ও নৌবাহিনী উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। নৌবাহিনী বন্যাদুর্গত মানুষদের নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে শুকনো খাবার, রান্না করা খাবার এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহ করছে। এছাড়াও প্রতিটি এলাকায় মেডিকেল টিমের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হচ্ছে। আশ্রয়কেন্দ্রের বাইরে যারা বাড়িঘরে আটকে আছেন, তাদের কাছে শুকনো খাবার (চিড়া, মুড়ি, বিস্কুট, ব্রেড), রান্না করা খাবার, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, ঔষধ এবং খাবার স্যালাইনসহ প্রয়োজনীয় ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছে নৌবাহিনী। বিশেষ করে, বয়স্ক, অসুস্থ ও গর্ভবতী নারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
গবাদিপশু ও অতিপ্রয়োজনীয় সামগ্রীসমূহও নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করেছে নৌবাহিনী। বন্যার্তদের সহায়তায় নৌ সদস্যদের এক দিনের বেতন প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে জমা দেয়া হয়েছে এবং তারা বস্ত্র সামগ্রী, রেশন ও নগদ অর্থও প্রদান করছে।
বাংলাদেশ নৌবাহিনী ঘোষণা করেছে যে, বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত উদ্ধার কার্যক্রম, চিকিৎসা সেবা ও ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত থাকবে, যা জাতির প্রতি তাদের দায়িত্ব ও মানবিকতার প্রতিফলন।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।