সেবা ডেস্ক: সন্ত্রাসবিরোধী আইনে নিষিদ্ধ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ এর সব অঙ্গসংগঠনের কোন ধরনের বিবৃতি প্রকাশ করা যাবে না।
বৃহস্পতিবার অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মুহাম্মদ (এ এম) আমিন উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন বা ব্যক্তির কোনো বিবৃতি, মন্তব্য, অভিমত ও উক্তি কোনোভাবেই প্রচার-প্রকাশ করা যাবে না।
সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯-এর ধারা ১৮(১)-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ এর সব অঙ্গসংগঠনকে রাজনৈতিক দল ও সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার।
বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ১৬ নম্বর আইন) এর ২০ এর ১ ধারা মতে তালিকাভুক্ত ব্যক্তি বা নিষিদ্ধ সত্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে সরকার। আইনে বলা হয়েছে, ২০-এর ১-এর ঙ ধারা মতে তালিকাভুক্ত ব্যক্তি বা নিষিদ্ধ সত্তার প্রেস বিবৃতির প্রকাশনা, মুদ্রণ বা প্রচারণা নিষিদ্ধ করবে সরকার।
তালিকাভুক্ত ব্যক্তি বা নিষিদ্ধ সত্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ বিষয়ে ২০-এর ১ ধারায় বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তিকে ধারা ১৮-এর বিধান অনুসারে তালিকাভুক্ত করা হয় বা কোনো সত্তাকে নিষিদ্ধ করা হয়, তাহলে এই আইনে বর্ণিত অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণ ছাড়াও সরকার প্রযোজ্য ক্ষেত্রে নিম্নবর্ণিত যেকোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
এর মধ্যে (ক) উক্ত সত্তার কার্যালয়, যদি থাকে, বন্ধ করে দেবে (খ) ব্যাংক ও অন্যান্য হিসাব, যদি থাকে, অবরুদ্ধ করবে এবং তার সব সম্পত্তি জব্দ বা আটক করবে (গ) নিষিদ্ধ সত্তার সদস্যদের দেশ ত্যাগে বাধা-নিষেধ আরোপ করবে(ঘ) সব ধরনের প্রচারপত্র, পোস্টার, ব্যানার অথবা মুদ্রিত, ইলেকট্রনিক, ডিজিটাল বা অন্যান্য উপকরণ বাজেয়াপ্ত করবে (ঙ) নিষিদ্ধ সত্তা কর্তৃক বা তার পক্ষে বা সমর্থনে যেকোনো প্রেস বিবৃতির প্রকাশনা, মুদ্রণ বা প্রচারণা, সংবাদ সম্মেলন বা জনসম্মুখে বক্তব্য প্রদান নিষিদ্ধ করবে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।